অবশেষে আসন্ন বিপিএল নিয়ে ধোঁয়াশা কেটেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গুলশান অফিসে দীর্ঘ আলোচনার পর চূড়ান্তভাবে কারা দল পাচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছে বিপিএল আয়োজক কমিটি।
আগ্রহ প্রকাশ করা ১১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আগেই বাদ দেয়া হয়েছিলো তিনটিকে। সেখান থেকে চূড়ান্তভাবে দল পায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ আগামী বিপিএল হতে যাচ্ছে ইতিহাসে সবচেয়ে কম ৫টি দল নিয়ে।
পুরানোর ভেতর রংপুর ও ঢাকার ফ্রাঞ্চাইজি থাকলেও নেই গতবারের চ্যাম্পিয়ন বরিশালের ফ্রাঞ্চাইজি। এমনকি এবারের বিপিএলে থাকছে না বরিশালের কোনো দলও। নতুন করে দলের মালিকানা পেয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান।
বিপিএল কমিটি সদস্য ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, টগি স্পোর্টস রংপুর, ট্রায়াঙ্গাল সার্ভিস চট্টগ্রাম, চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপ রাজশাহী, ক্রিকেট উইথ সামি সিলেট; এ পাঁচটি টিম আমরা ফাইনাল করতে পেরেছি।’
দল কমে যাওয়ায় এবারের বিপিএলে প্রতিযোগিতা বাড়লেও, কমছে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের সংখ্যা। তবে বিশেষ কোনো উপায়ে দলে বেশি ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ভাবছে বিপিএল আয়োজক কমিটি।
আরও পড়ুন:
বিপিএল কমিটি সদস্য নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে যেকোনো উপায়েই হোক না কেন সাধারণত পাঁচটি দলে যতজন ডোমেস্টিক প্লেয়ার থাকে সেই সংখ্যাটি কীভাবে বাড়ানো যায়। কোনো শর্ত দিয়ে বাড়ানো যায় কিনা। তাতে আমাদের খেলোয়াড়দের স্বার্থ কিছুটা রক্ষিত হবে। অনেকেই আছে যারা যোগ্যতা থাকার পরও খেলতে পারবে না।’
এর আগে, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ও হোটেল বিল নিয়ে বিপিএলের দলগুলো কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে। তবে এবার আগেভাগেই দল মালিকদের কাছ থেকে বড় অংকের মানি গ্যারান্টি রাখতে পারায় আসন্ন বিপিএলগুলোতে আর এমন ঝামেলা পোহাতে হবে না বলে মনে করছে বিসিবি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সহ-সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এ টিমগুলো নিয়ে জানার জন্য আমাদের ব্যাংকের কাগজ দিয়েছেন, ফিন্যান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্ট দিয়েছেন। প্রত্যেকটি আমরা ব্যাংকে পাঠিয়েছি। এরইমধ্যে ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্ট দেখছেন আমাদের অডিট কোম্পানি। আমরা ল অ্যান্ড ইনফরমেশন এজেন্সিকে ক্লিয়ারেন্সের জন্য পাঠিয়েছি।’
গেলবারও শুরুর আগে অন্যরকম বিপিএল উপহার দেয়ার কথা দিয়েছিলো আয়োজকরা। তবে মাঠের খেলা ছাপিয়ে দলগুলোর পেমেন্ট ইস্যু হয়ে যায় আলোচনার মূল বিষয়। এবারও আয়োজকদের মুখে আগের সুর। তবে কম দল নিয়ে শুরু হওয়া বিপিএল কতটা স্বচ্ছ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।





