রিশাদের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে রেকর্ড; হয়ে উঠছেন দলের ভরসার নাম

বাংলাদেশি ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন | ছবি: ইএসপিএন ক্রিকইনফো
0

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন রিশাদ হোসেন। আগুনঝরা বোলিংয়ে তিনি প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন গুঁড়িয়ে দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান। এদিন নিজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগারে গড়েছেন একাধিক রেকর্ডও। শুধু বোলিং নয়, ব্যাটে-বলেও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে রিশাদ ধীরে ধীরে হয়ে উঠছেন দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার। তার এই অলরাউন্ড নৈপুণ্য বাংলাদেশের জয়ে দিয়েছে বাড়তি আত্মবিশ্বাস।

২০৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লে-তে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৪৫ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের। অনেকেই ভেবেছিলেন ম্যাচটা সহজেই জিততে যাচ্ছে ক্যারিবীয়রা। তবে এরপরই দৃশ্যপটে হাজির রিশাদ হোসেন। প্রথম ওভারেই পেলেন উইকেটের দেখা। আর বাংলাদেশ দেখল ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন।

উইকেট হারানোর পরও ধীরে ধীরে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল উইন্ডিজ। ২০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ৭৯ রান ওঠে উইন্ডিজদের। বাকি ৩০ ওভারে ক্যারিবীয়দের প্রয়োজন ১২৯ রান। ম্যাচ তখনও তাদের নিয়ন্ত্রণেই।

অনেকে হয়তো আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন একজন, তিনি রিশাদ হোসেন। এ লেগস্পিনার পরপর ৩ ওভারে নিলেন আরও ৪ উইকেট। আর এতেই চালকের আসনে চলে যায় বাংলাদেশ।

রিশাদের সেই ম্যাজিক স্পেলের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি উইন্ডিজরা। সফরকারীদের শেষ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ৭৪ রানের বড় জয় নিশ্চিত করেন এ লেগস্পিনার, যা ছিল ম্যাচে তার ষষ্ঠ উইকেট।

১২ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম ফাইফারের দেখা পেলেন তিনি। ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্সে গড়েছেন আরও কিছু রেকর্ড।

আরও পড়ুন:

প্রথম ডানহাতি বাংলাদেশি স্পিনার হিসেবে ওডিআইতে ফাইফারের দেখা পেয়েছেন রিশাদ। এমনকি বাংলাদেশি স্পিনারদের মধ্যে ওয়ানডেতে সেরা বোলিং ফিগারও এখন তারই। এমন অর্জনকে কীভাবে দেখছেন এই লেগি?

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পিনার রিশাদ হোসেন বলেন, ‘প্রথম ওভারে অ্যাডজাস্ট করতে সমস্যা হয়েছিল। তবে পরে তা কভার করে ফেলেছি। আমি চেষ্টা করেছি আমার সর্বোচ্চ দেয়ার।’

বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও ক্রমেই ভরসা হয়ে উঠছেন রিশাদ। এ ম্যাচে তার ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে ২০০ পেরোনো নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ব্যাটিংয়ে ক্রমেই উন্নতি করলেও নিজের রোল ও পজিশন নিয়ে সন্তুষ্ট তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার নিয়ম হলো কীভাবে টিমের জন্য ভালো করা যায়। ১৮০ রানের জায়গায় ২১৫ রান হলে ভালো হয়।’

আগের খেলা ১১ ওয়ানডের মাঝে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পর্যন্তই শিকার করতে পেরেছিলেন রিশাদ। তবে ক্রমেই যে তিনি উন্নতি করছেন, সেটা স্পষ্ট। ব্যাট হাতে শেষদিকে ক্যামিও বা বোলিংয়ে এলেই উইকেট, ধীরে ধীরে নিজেকে ওয়ানডেতেও অপরিহার্য করে তুলছেন এ লেগস্পিনার।

এফএস