আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে ছেড়েছিলেন মাতৃভূমি। সেই তিনিই আইসিসির লোভনীয় চাকরি ছেড়ে দেশের ডাকে ফিরেছিলেন বিসিবির আঙিনায়। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ‘টি-টোয়েন্টি’ ইনিংস খেলার। কিন্তু, এবার নির্বাচিত হয়ে জানালেন, চার বছরের বিসিবি পিরিয়ড তিনি ‘টেস্ট’ স্টাইলে খেলবেন।
আগামী চার বছরের জন্য ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির চেয়ারে দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। নানা বিতর্কের জন্ম দেয়া নির্বাচনে অনেকটা ‘একপেশে’ জয় পেয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ক্যাটাগরি-১ থেকে ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এমনকি, গতকাল সন্ধ্যায় সভাপতি পদেও বিনাবাধায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সাবেক সতীর্থ ফারুক আহমেদের প্রস্তাবনায় নিজের পদ ধরে রেখেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। সেইসঙ্গে সাবেক সতীর্থ ফারুককে পেয়েছেন সহ সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ পদে।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটে আমাদের যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ, তার একটি প্রমাণ আপনাদের সামনে রাখতে চাই। আজকে যখন আমি সভাপতি হয়েছি, তখন সভাপতি হওয়ার জন্য যিনি দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন, তিনি ফারুক ভাই। ফারুক ভাই যখন সভাপতি ছিলেন, তখন সেটার প্রস্তাবক ছিলাম আমি। এ কথা বলার মূল কারণ হচ্ছে, আমাদের সবার পদের আগে ক্রিকেটের স্থান।’
এসেছিলেন খণ্ডকালীন মেয়াদে। তবে সেখান থেকে বড় সময়ের জন্য দায়িত্ব। যার জন্য ছাড়তে হয়েছে আইসিসির চাকরিটাও। চার মাসেই কেন নিজের মতের এমন পরিবর্তন? সেই উত্তরটাও দিয়ে রেখেছেন বুলবুল।
আরও পড়ুন:
নবনির্বাচিত সভাপতি বলেন, ‘এটা একটা জার্নির অংশ ধরে নিয়েছি। বাংলাদেশের ক্রিকেট ডেভেলপমেন্টের প্রেমে পড়ে গিয়েছি। হয়তো শর্ট টার্মের জন্য ছিলাম এবং এটাই সব সময় পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু যখন কাজ করা শুরু করলাম, সাফল্যগুলো দেখতে পেলাম; সেই লোভটা আমি ছাড়তে পারিনি। সেই লোকই আমি রয়ে গিয়েছি, আমার দেশের জন্য আরেকটু সেবা করতে।’
প্রথম দিনেই গুণগত পরিবর্তনের দিকে নজর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের। এখন থেকে কাউন্সিলরদের নাম হবে ‘ক্রিকেট প্রেসিডেন্ট’; সেটা পরিচালকদের প্রাথমিক আলোচনাতেই হয়েছে। সেইসঙ্গে বোর্ডসভার গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রেও আছে মনোযোগ।
বুলবুল বলেন, ‘এটা একটা ওয়ার্ড এথিক্স, আমরা সবাই অ্যাডাল্ট এখানে। ওয়ার্ড এথিক্সটা ফলো করার চেষ্টা করবো আমরা সবাই। আমাদের স্টেপ ওয়ান যেটা, তা হলো—নেক্সট বোর্ড মিটিং থেকে আমরা কোনো ফোন অ্যালাউ করবো না।’
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ক্রিকেট বোর্ড পরিচালিত হয়েছে ৯ জন পরিচালক নিয়ে। নির্বাচন শেষে আবার পাওয়া গেল পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পর্ষদের দেখা। সবাইকে নিয়ে নতুন দিনে ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা আমিনুল ইসলামের। বাকিটা সময় বলে দেবে।





