ক্রিকেট বাংলাদেশের আবেগ। সেটা নিয়ে মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে নিত্য খেলা করেন কখনো ক্রিকেটাররা কখনো বা ক্রিকেটের নীতিনির্ধারকরা। যেখানে বিভিন্ন সময় দেখা মিলেছে নানা নাটকীয়তার।
বিসিবি নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও মঞ্চস্থ হচ্ছে একের পর এক নাটক। শুরু থেকে সরকারী হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে আসছিলেন তামিম ইকবালসহ বেশ কয়েকজন ক্রীড়া সংগঠক। মাঝে গুঞ্জন ওঠে সমঝোতারও।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযুক্ত ১৫ ক্রিকেট ক্লাব নিয়ে-হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ পরবর্তীতে আবারও বাতিলের পর এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সভাপতি প্রার্থী তামিম ইকবাল, একইসঙ্গে তুলে ধরেছেন নানা অভিযোগ।
তামিম ইকবাল বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কথা বলা হয়েছে। তবে দিন শেষে আমার কাছে মনে হচ্ছে, এই নোংরামিতে কোনোভাবেই, কোনো দিক থেকেই অংশ নিতে পারবো না। যারা বোর্ডে আছেন, তারা যদি এভাবে করেই ইলেকশন করতে চান, করতে পারেন—জিততেও পারেন। তবে আজকে ক্রিকেট ১০০ পার্সেন্ট হেরে গেছে, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা বড় গলায় বলেন যে, ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে। আগে ইলেকশনের ফিক্সিং বন্ধ করেন। পরে ক্রিকেটের ফিক্সিংটা বন্ধ করার চিন্তা করবেন। এখানে আজকে আরও অনেকেই উইথড্র করতেন। তবে তাদেরকে বিভিন্নভাবে বোঝানো হয়েছে বা চাপ সৃষ্টি করে তাদেরকে থামানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
অনিয়ম হলেই বিভিন্ন সময়ে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার প্রশ্ন উঠেছে এদেশের ক্রিকেটে। দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা দেশেই সমাধান করতে চান ক্রীড়া সংগঠক রফিকুল ইসলাম বাবু।
ক্রীড়া সংগঠক রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আইসিসিতে কেন যাবে? এটা তো দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো কিছু নয়। আমাদের ক্রীড়া উপদেষ্টা যেহেতু এ ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক, তিনি চাইলেই কিন্তু এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন।’
এছাড়া বিএনপির তিন জ্যৈষ্ঠ নেতার ছেলে ইসরাফিল খসরু, উমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান ও ইয়াসির আব্বাস নির্বাচনে নানা অভিযোগ তোলার পাশাপাশি জানান, মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও হাল ছাড়বেন না তারা।
আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের কাউন্সিলর মির্জা ইয়াসির আব্বাস বলেন, ‘প্রথমদিকে যখন ১৫টি ক্লাবকে বাতিল করা হয়, এরপর আবার তাদের এলাও করে নোমিনেশন পেপারটা নিলো, এরপর আবার দেখলাম বাতিল করলো। তখন আমার মনে হলো, এখানে কোনো বড় ঝামেলা আছে।’
বাংলাদেশ বয়েজ ক্লাবের কাউন্সিলর ওমর ফারুক মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘বাংলাদেশ সবার আগে, এই একটা ভূমিকায় যেন সবাই থাকতে পারে। আমরা হাল ছাড়ছি না, আমাদের তো এই ব্যাপারে একটা টান আছে।’
ক্রিকেট বোর্ডের নীতি নির্ধারক নির্বাচনে আচমকা নতুন মোড়ে এবার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে কি না সেটা নিয়েই মিলছে শঙ্কার আভাস।





