হারলেই এশিয়া কাপের লড়াই থেকে অনেকটাই যেতে হবে ছিটকে। এমন সমীকরণকে সামনে রেখে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাট করে আট উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে লঙ্কানরা। লক্ষ্যটা সহজ হওয়ায় স্বস্তি নিয়েই প্রথম ইনিংস শেষ করে পাকিস্তান।
১২০ বলে করতে হবে ১৩৪ রান। পাক ক্রিকেটারদের জন্য হিসাবটা পানির মতোই পরিষ্কার। তাই কোনো চাপ না নিয়ে শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কান বোলারদের দেখে শুনে খেলতে থাকেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও ফকর জামান।
পাকিস্তান প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৪৫ রানে। ব্যক্তিগত ২৪ রান করে থিকসানার বলে ক্যাচ তুলে ফিরতে হয় ফারহানকে। এক বল পরেই ফারহানের পথ অনুসরণ করেন ফকর। এরপর যেন পাশার দান যেতে থাকে উল্টে। পরের ওভারেই আউট হন সাইম আউয়ুব। এরপর আটতম ওভারে হাসারাঙ্গার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সালমান আঘা ফিরলে গ্যালারিতে থাকা পাকিস্তানি দর্শকদের মুখের হাসি ফিকে হয়।
আরও পড়ুন:
তবে শেষ পর্যন্ত হাসি ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তানি ব্যাটাররা। হোসাইন তালাত ও মোহাম্মদ নাওয়াজের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পাঁচ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। এ জয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন টিকে রইলো সালমান আঘার দলটির।
টসে হেরে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ পায় শ্রীলঙ্কা। তবে শুরুতেই হোচট খায় দলটি। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে শাহীন আফ্রিদির শিকার হয়ে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ওপেনার কুশাল মেন্ডিস।
তৃতীয় ওভারে বলে এসেও জাদু দেখান আফ্রিদি। পাথুম নিশাঙ্কাকে কট বিহাইন্ড করে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। পরের ব্যাটাররা কোনোমতেই পারছিলেন না সেট হতে। আশা যাওয়ার মিছিলে সামিল হন কুশাল প্যারেরা, চারিথ আশালঙ্কা, দাসুন শানাকারা। দলীয় ৫৮ রানের মাথায় শ্রীলঙ্কা হারায় গুরুত্বপূর্ণ ৫টি উইকেট।
এরপর হাসারাঙ্গাকে সঙ্গে নিয়ে স্কোর বড় করতে থাকেন কামিন্দু মেন্ডিস। তবে ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হয়ে ফিরতে হয় হাসারাঙ্গাকে। একপাশ আগলে ব্যাট করতে থাকেন কামিন্দু। এ অলরাউন্ডারের অর্ধশতকে ভর করে সম্মানজনক রান নিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়ে শ্রীলঙ্কা।





