ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের কথা বললে মানসপটে যে ধ্রুপদি লড়াইয়ের কথা ভেসে ওঠে, আক্ষরিক অর্থে সে লড়াইটার খোঁজ নেই বহুদিন। কেবল মুখের কথা আর কাগজ-কলমের লড়াই। ব্যাটে-বলে যে লড়াই সেখানে ভারতের আধিপত্যের কাছে অনেকটাই নতজানু পাকিস্তানীরা।
তবু রেশ রয়ে যায়। কারণ এ লড়াই চিরন্তন। যে ম্যাচ ক্রিকেটীয় আবহ ছাড়িয়ে টেনে আনে রাজনীতি, সেখানে ব্যাটখানা হয়তো তলোয়ারই হয়ে ওঠে। উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যায় শেষ ম্যাচটির কথাই।
সীমান্তযুদ্ধের রেশ টেনে ন্যূনতম সৌজন্য বোধটাও ভুলে গেলেন ভারতীয় অধিনায়ক। প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলাতেই যত আপত্তি!
এ নিয়ে বহু নাটকীয়তার যেন শেষ নেই। এশিয়া কাপ বর্জনের হুমকিও দিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
এবারও কি সেরকম কিছু হতে যাচ্ছে? নইলে কিভাবে হাত মেলাবেন দু’পক্ষের ক্রিকেটাররা? এসব দেখার জন্যও তো আগ্রহী মানুষের কমতি নেই।
আরও পড়ুন:
এ ম্যাচেও যথারীতি ম্যাচ রেফারি থাকছেন অ্যান্ডি পাইক্রফট। হ্যান্ডশেক ইস্যুর কেন্দ্রীয় চরিত্র দাবি করে যাকে অপসারণের আন্দোলনে নেমেছিল পাকিস্তানীরা, তবে তাতে কর্ণপাত করেনি আইসিসি।
এ ম্যাচের আগেও শুরু হয়ে গেছে ঘটনার ঘনঘটা। পাকিস্তানীরা নির্ধারিত ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলন বর্জন করেছে। ভারতীয়রা সেরে রেখেছে একদিন আগেই, তবে সেই সংবাদ সম্মেলন আবার প্রকাশে দিয়ে রেখেছে নিষেধাজ্ঞা।
এত সবের মাঝে মাঠের যে লড়াইয়ের ঝাঁঝ, তাতে ছেদ পড়েছে বহু আগেই। গতকাল (শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর) যেমন ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনার উত্তরে ভারতীয় অধিনায়ক বললেন, ‘রুমে গিয়ে ফোন বন্ধ করে ঘুমাবো।’ বাইরে যত কথা, যত আলাপ-আলোচনা, ঠিক ততটাই নির্লিপ্ত ভারতীয় শিবির।
সেরকমই তো হওয়ার কথা। কেননা মুখোমুখি সবশেষ ৫ ম্যাচের ৪টিতেই জয় পেয়েছে ভারত। টি-টোয়েন্টিতে সবমিলিয়ে যে হিসাবটা ১১ বনাম ৩। এ ম্যাচের আগেও নিশ্চিতভাবে ভারতীয়রাই এগিয়ে থাকছে।
তবে দু’দিন আগেই ওমানের বিপক্ষে যেভাবে হাবুডুবু খেয়েছেন সুর্যকুমার যাদবরা, তাতে কিছুটা অনুপ্রেরণা খুঁজে পেতে পারে পাকিস্তান। যদিও নিজেদের সেরা একাদশটা খুঁজে পেতেই বেগ পেতে হচ্ছে সালমান আগাদের।
দুই দলের কাগুজে লড়াইয়ের বাইরেও, সুপার ফোর যেহেতু ফাইনালে ওঠার লড়াইও, তাই জমজমাট এক ম্যাচের অপেক্ষায় ক্রিকেটবিশ্ব। দুবাইয়ের স্পিন উইকেটে কারা দাপট দেখাবেন, সেটি সময় বলে দেবে।





