পাঁচদিনের ক্রিকেটে ক্ষণে ক্ষণে বদলায় পরিস্থিতি। ম্যাচের লাগাম কখনও নিজেদের হাতে, কখনওবা প্রতিপক্ষের হাতে। গল টেস্টও ব্যতিক্রম নয়।
প্রথম দুদিনে বৃষ্টির বাগড়া ছাড়া পুরোটা সময় ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। মুশফিক-শান্ত-লিটনদের ব্যাটিং দৃঢ়তার কাছে একপ্রকার অসহায়ই ছিল শ্রীলঙ্কার বোলাররা। তবে দ্বিতীয় দিন বিকেলে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। তারই ফল পায় তৃতীয় দিন সকালে। স্কোরবোর্ডে ৫০০ এর কাঁটা ছোঁয়ার আগেই বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা।
বড় সংগ্রহে ভড়কে না গিয়ে বরং পাল্টা আক্রমণ শুরু করে স্বাগতিকরা। নিশাঙ্কার শঙ্কাহীন ব্যাটিং, অভিজ্ঞ চান্দিমাল-ম্যাথুসদের চাহিদা বুঝে ব্যাট চালানোর দক্ষতায় সহজেই নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা।
যে ৬জন লঙ্কান ব্যাট করতে নেমেছেন সবাই পৌঁছেছেন দুই অংকের ঘরে। তবে আলাদা করে বলতেই হয় ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার কথা। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে ক্যারিয়ারের মাত্র ১৭তম টেস্ট খেলতে নেমে হাঁকিয়েছেন তৃতীয় সেঞ্চুরি। ছুটছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকেই। নতুন বলে হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত ইনসুইংয়ে পরাস্ত হওয়ার আগে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৮৭ রানের ইনিংস।
ফিফটি হাঁকানো চান্দিমালকে ফেরান নাঈম। শেষ টেস্ট খেলতে নামা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে গার্ড অব অনার দিলেও, ৩৯ রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান মুমিনুল।
১২৭ রানে এগিয়ে থেকে দিনশেষ করেছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের শুরুতে লিড ধরে রেখেই লঙ্কানদেরকে গুটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে টাইগাররা। তাতে ম্যাচের ফলটাও নিজেদের পক্ষে রাখার রসদ খুঁজে পাবে লিটন-শান্তরা।