দেশের বাইরে জাতীয় দল। এ দল, ইমার্জিং দল, নারী দলসহ সবাই ঢাকার বাইরে। ফলে মিরপুরে হোম অব ক্রিকেটে সুনসান নীরবতা।
তবে বেলা গড়াতেই উত্তাপ বাড়তে শুরু করে। দুপুর ১টায় হঠাৎ করেই বিসিবিতে এসে হাজির হন দুদকের একটি দল। বিসিবি সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও হাজির হন কার্যালয়ে।
একমাসের ব্যবধানে বিসিবিতে দুদকের দ্বিতীয় দফা অভিযান। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়েই বোর্ডে হাজির হয়েছেন তারা। কাগজপত্র যাচাইবাছাই শেষে গণমাধ্যমে তারা জানিয়েছেন, তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে কিছু ক্লাবকে অবৈধ সুবিধা দেয়ার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।
দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, ‘তৃতীয় বিভাগে কোয়ালিফাইংয়ের ইস্যুটা কতটুকু স্পষ্ট? বা স্বচ্ছ কি না? বা এর বৈধতা কেমন? ব্যাপারগুলোতে আমরা দেখেছি।’
নাজমুল হাসান পাপনের কমিটি কেবল মাঠের ক্রিকেটেই অনিয়ম করেনি বরং মেনে চলেনি গঠনতন্ত্রও। অভিযোগ দুদক কর্মকর্তাদের।
দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, ‘এখানে গঠনতন্ত্র নিয়ে যে প্রশ্নগুলো উঠেছিল সেখানে আদালতের একটা রায় ছিল সে রায় অনুযায়ী পরে গঠনতন্ত্র সংশোধিত হয়ে বর্তমানে সেটার আলোকে পরিচালিত হচ্ছে। তবে গঠনতন্ত্রে আমরা একটা বিষয় খেয়াল করেছি, এখানে খুব সুন্দর প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি হওয়ার কথা ছিল বিসিবির। কিন্তু এই জায়গাতে আমরা গ্যাপ পেয়েছি।’
বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে আছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও। দুদক তদন্ত করছে বিসিবিতে অর্থের নয়ছয় নিয়েও।
দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, ‘যে রিস্ক জোন ব্যাংকগুলো ভাগ করা হলো সেখানে তারা যেটাকে মনে করেছে অধিক নিরাপদ সেখানেই ট্রান্সফার করেছে। এই সময়ে যে কাজ করা হয়েছে, তাদের ব্যাখ্যাটা তো আমরা পেয়েছি। এখন এটা যাচাই করতে আমাকে রেকর্ডপত্র দেখতে হবে। এর বাইরে আমি আসলে কথা বলতে পারি না।’
অভিযানের বিষয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে প্রশ্ন করা হলেও গণমাধ্যম এড়িয়ে বিসিবি চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি।