আইপিএলের আগে 'নিষিদ্ধ' জুয়ার বিজ্ঞাপনে সাকিব

ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

আবারো নিষিদ্ধ জুয়ার বিজ্ঞাপনে মডেল হলেন সাকিব আল হাসান। এর আগে বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি করলেও, সমালোচনার মুখে ভুল বুঝেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। তবে এবার আর কোন রাখঢাক নয়, সরাসরি বিজ্ঞাপন দূত হয়ে হাজির হলেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ জুয়া সাইট ওয়ান এক্স বেটের।

সাকিব আল হাসান, নাম্বার ওয়ান ইন ক্রিকেট এন্ড নাম্বার ওয়ান ইন বেট?

বোলিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না হতেই আবারো জুয়ার বিজ্ঞাপনে সাকিব। নিজের ফেসবুক ওয়ালে ক্রিকেটের অন্যতম বড় জুয়ার মাধ্যম ওয়ান এক্স বেটের প্রমোশনাল ভিডিও প্রকাশ করেছেন দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার। তবে সমালোচনা এড়াতে বন্ধ রেখেছেন টাইমলাইনের কমেন্টস অপশন।

টাইগার ক্রিকেটকে বহু সাফল্যের মুহূর্ত দিয়েছেন সাকিব। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দাপট দেখিয়েছেন বৈশ্বিক ক্রিকেটেও। কখনো বাংলাদেশের হয়ে কখনো বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। সময়ের পরিক্রমায় হয়ে উঠেছেন ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম পোস্টার বয়। ক্রিকেটারদের স্বার্থ আদায়ে যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি ক্রিকেটের স্বার্থ পরিপন্থি কাজেও সরব উপস্থিতি ছিল সাকিবের।

২০১৯ এর অক্টোবরে জুয়াড়িদের কাছ থেকে ফিক্সিং প্রস্তাব পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন সাকিব। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার ফলে ক্রিকেটে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সাকিব। ভক্তরা ভেবেছিলেন সাকিব শুধরে যাবেন। তবে সাকিব আর শোধরালেন কই! একের পর এক জড়ালেন জুয়ার সাইটগুলোর প্রমোশনে।

৪ আগস্ট ২০২২, অনলাইন জুয়ার সাইট বেটউইনারের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বেটউইনারের সাথে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তি করেন সাকিব। অবশ্য সমালোচনার মুখে একদিনের ব্যবধানে ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলেন সেটি। দাবি করেন নিউজ সাইট মনে করে চুক্তি করেছিলেন তিনি। বিসিবির চাপের মুখে সপ্তাহের ব্যবধানেই বাধ্য হন চুক্তি বাতিল করতে। অবশ্য সেখানেও থামেননি সাকিব!

২১ নভেম্বর ২০২৩ সালে বাবু ৮৮ নামে একটি অনলাইন ক্যাসিনো ও ক্রিকেট এক্সচেঞ্জ সাইটের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় সাকিবকে। আর ১১ মার্চ ২০২৪ সালে ভারতের বহুল আলোচিত মাহাদেভ বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির সঙ্গে সাকিবের বোনের সম্পৃক্ততার অভিযোগও উঠে।

গুঞ্জন ছিল অনেক আগে থেকেই ওয়ান এক্স বেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সাকিব। সেই গুঞ্জনকে সত্য প্রমাণ করে এই জুয়ার সাইটের অফিশিয়াল প্রমোশন করলেন সাকিব। কারণটা কি এটাই যে তিনি এখন বিসিবির চুক্তিতে নেই?

১৯৭২ এর সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে 'গণিকাবৃত্তি ও জুয়া খেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে'। অথচ সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব সংবিধানকে তোয়াক্কা করছেন কই? বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা পারফর্মার কিন্তু নৈতিকতা-দেশপ্রেমের ক্ষেত্রে বাজে উদাহরণ সাকিব রেখে চলেছেন বারবার। তবে এই সাকিব যেন আরো বেপরোয়া। আইনি বাধাকে থোড়াই কেয়ার করা সাকিবের কাছে যেন অর্থই সব!

ইএ