ওয়ানডে ক্রিকেটে শেষবার ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। সেটা ছিল ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনাল। ১৪০ কোটি ভারতীয়র হৃদয় ভেঙে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
যদিও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া আর চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অজি দলে তফাত আকাশ পাতাল। বিশ্বকাপ ফাইনালের অন্যতম দুই নায়ক প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক নেই। সেই সঙ্গে নেই জশ হ্যাজলউডও। ত্রয়ীকে ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিং আক্রমণ অনেকটাই দুর্বল।
এরপরেও বর্তমান বোলিং আক্রমণ নিয়েই ভারত বধের ছক কষছেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। অজি অধিনায়কের আশা জমজমাট মাঠের লড়াই
স্টিভেন স্মিথ বলেন, ‘আমাদের অনেক বোলিং অপশন আছে। তানভীর সাঙ্গা আছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ট্রাভিস হেডরা হাত ঘোরাতে পারেন তাই সেদিকে আমার চিন্তা খুব বেশি নেই। আমার পক্ষ থেকে দলের কাছে স্পষ্ট বার্তা যে মাঠে গিয়ে ভালো খেলতে হবে। তবে সব দিক বিবেচনায় ভারত কিছুটা সুবিধা পাবে কারণ তারা সব ম্যাচ এখানেই খেলেছে। সব মিলিয়ে আমরা ভালো লড়াইয়ের অপেক্ষায় আছি, আশা করছি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।’
ভারতীয় দলে এখন এক ঝাঁক ম্যাচ উইনার। সঙ্গে এক্স ফ্যাক্টর বরুণ চক্রবর্তী যিনি প্রথম একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। নিউজল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচে খেলানো হয় তাকে। পাঁচ উইকেট নিয়ে কিউয়ি ব্যাটারদের বিধ্বস্ত করেছেন কেকেআরের রহস্য স্পিনার। সেমিফাইনালেও তার খেলার সম্ভাবনা প্রবল। সঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর পটেল ও কুলদীপ যাদব - ভারতের স্পিন চতুর্ভুজ দুবাইয়ের মন্থর পিচে বিশ্বের যে কোনও ব্যাটিং লাইন আপের ঘুম কাড়তে পারে। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন রোহিতও।
রোহিত বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া দারুণ প্রতিপক্ষ। গত তিন ম্যাচ ধরে যা করে আসছি, সেমিফাইনালেও সেটাই করব। একই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামব। প্রতিপক্ষ কেমন আমরা জানি। তবে আমার মনে হয় অনেক বেশি করে ভাবা উচিত নিজেদের খেলা নিয়ে, ব্যক্তি হিসাবে দক্ষতা ও দল হিসাবে কী করতে পারি তা নিয়ে। ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ে। তাতেই বেশি উপকৃত হব।’
ভারতকে চিন্তায় রাখবে ট্র্যাভিস হেডের রেকর্ডও। ভারতকে দেখলেই যিনি জ্বলে ওঠেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছিলেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি রয়েছে। মঙ্গলবারও জ্বলে উঠলে কপাল পুড়তে পারে ভারতের।