বছর ঘুরে আবারও বেজেছে আইসিসি টুর্নামেন্টের দামামা। আর প্রতিটি বৈশ্বিক আসর মানেই যেন কিংবদন্তীদের বিদায় মঞ্চ।
গেলো বছর টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর একসঙ্গেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটকে বিদায় জানিয়েছিলেন রোহিত শর্মা-ভিরাট কোহলি ও রবীন্দ্র জাদেজা।
ছোট ফরম্যাটে বিদায় নিলেও এখনও ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম বড় নাম রোহিত-কোহলিরা। তবে তাদের সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের ধার ঠিক আগের মতো নেই, সমালোচনাও হচ্ছে টুকটাক। আর তাই এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষেই যে তারা ওয়ানডে ক্রিকেট বিদায় জানাবেন, সেটা প্রায় নিশ্চিত।
অন্যদিকে জাদেজার পারফরম্যান্স নিয়ে কোনো সমালোচনা নেই। পরের বৈশ্বিক আসরও হবে দু'বছর পর, তাই ৩৬ বছর বয়সী জাদ্দুর দুই বছর এই ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া তার জন্য অসম্ভবের কাতারে। আর তাই এটাই যে বাঁহাতির শেষ আইসিসি ইভেন্ট, তা বলাই যায়।
বয়সের হিসেবে রোহিত-কোহলিদের চেয়ে ছোট হলেও নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনের শেষ আইসিসি ইভেন্ট হতে চলেছে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সম্প্রতি ভালো শেপে থাকলেও প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের ইনজুরির শিকার হচ্ছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে নিজের ক্যারিয়ার ২০২৭ পর্যন্ত লম্বা করবেন না কিউই কিংবদন্তি।
আফগান ক্রিকেট জাগরণের অগ্রদূত মোহাস্মদ নবি। যতদিন দেশটির ক্রিকেট থাকবে, আলোচনায় থাকবে এই অলরাউন্ডারের নাম। ৪০ ছুঁইছুঁই নবি ফর্মটাও ঠিক আগের মতো নেই। আর তাই পাকিস্তানেই ক্যারিয়ারের ইতি টানার সম্ভাবনা আছে তার। যদিও নিজের সন্তানের সাথেও জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখছেন এই পাঠান। তবে তা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এই তালিকায় আছেন দুই বাংলাদেশি মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ৩৮ ছুঁইছুঁই মিস্টার ডিপেন্ডেবল কিংবা ৩৯ পেরোনো ক্রাইসিস ম্যান রিয়াদ দু'বছর পর হয়তো মাতাতে পারবেন না মাঠ। এই তালিকায় থাকতে পারতো সাকিব আল হাসান কিংবা তামিম ইকবালের নামও। তবে তামিম অবসর নেয়ায় ও সাকিবের বোলিং অ্যাকশন কিংবা রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই দেশের জার্সি জড়িয়ে মাঠ থেকে বিদায় নেবার সুযোগ পাচ্ছেন না।
ইনজুরি কিংবা দলে জায়গা না পাওয়ায় না খেলেই বিদায় নিতে হচ্ছে অনেকের। তবে শেষ মুহূর্তে স্কোয়াড থেকে নিজের নাম সরিয়ে নেয়ায় হয়তো আইসিসির শেষ ইভেন্টাও মিস করলেন অজি কিংবদন্তি মিচেল স্টার্ক।