বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, যা হওয়ার কথা ছিল দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের রোল মডেল। বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের মিলনমেলার পাশাপাশি দেশীয়দের উপার্জনের বড় একটা জায়গা। কিন্তু এমনটা হলো কতটুকু?
উল্টো নানা সমালোচনা, ফিক্সিংয়ের কালো থাবা আর ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক না দেয়ার অভিযোগ। এসবে বিপিএল যেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বিতর্কের উদাহরণ হয়েই দাঁড়িয়েছে। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটির কেন এমন অবস্থা, এর সমাধানই বা কী?
বিসিবি সাবেক পরিচালক খন্দকার জামিল বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ কিন্তু ব্যবসা এই ব্যবসা কিন্তু এক বছরের জন্য নয়। আমি যদি ভালো পারফর্ম করতে পারি তাহলে দিন দিন আমার ব্যবসা বাড়াবে। পাঁচটা বছর পেলে ঠিকই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ইনকাম করতে পারবে। আর তখন বিসিবিও সব কিছু সুন্দরভাবে পাবে। কিছু কিছু সুযোগ-সুবিধা ফ্র্যাঞ্চাইজিকেও দিতে হবে যেমন প্রতিটি জায়গায় দেখবেন টিকিটের একটা অংশ কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিরা পায় বাংলাদেশে কিন্তু তারা পায় না। বাংলাদেশে যদি আমরা এই ট্রেন্ড সেট করতে পারি যে তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ব্যবসা করছে ও লাভ করছে পরবর্তীতে বিট কিন্তু বদলে যাবে।’
এতকিছুর পরও বিসিবির দাবি মাঠের ক্রিকেটে এবারের আয়োজন আগেরগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে পারিশ্রমিক নিয়ে বিতর্ক না উঠলে আরো ভালো হতো বলে মত গভর্নিং কাউন্সিলের এই সদস্যের।
নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘দুই-একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের করণীয় ঠিকমতো করেনি। অন্যদিকে মাঠে ক্রিকেট কিন্তু ভালো হয়েছে। যেখানে প্রচুর দর্শক ছিল তাই ক্রিকেটের বাহিরের কিছু কিছু ঘটনা ছিল যেগুলো না হলে খুব ভালো হতো।’
দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের প্রত্যাশা অনেক। যার প্রতিফলন দেখা যায় টিকিট বিক্রির লাইনে ও মাঠের দর্শক উপস্থিতিতে। তবে ধারাবাহিক এমন বিপিএল আয়োজনে কতটুকু আগাবে দেশের ক্রিকেট? নাকি অচিরেই মুখ থুবড়ে পড়বে দেশের ক্রিকেটের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটি? সেটাই হয়তো সময়ই বলে দিবে