সীমানার এক ফুট বাইরে স্পিনারের নো বল, অস্বাভাবিক ওয়াইড আর হাস্যকর ক্যাচ মিসের অসংখ্য ঘটনায় এবারের বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর গন্ধ ছড়িয়েছে ক্রিকেট পাড়ায়। সংখ্যাটা এতোটাই বেশি যে নড়েচড়ে বসেছে বিসিবির নিজস্ব এন্টি করাপশন ইউনিট আকু। যেখানে সন্দেহের তালিকায় এখন পর্যন্ত উঠে এসেছে ১০ জন ক্রিকেটারের নাম। এনামুল হক বিজয়, নাজমুল অপু, থিসারা পেরেরার মতো ক্রিকেটাররা আছেন সন্দেহের তালিকায়।
এখন টেলিভিশনের হাতে এসেছে ফিক্সিং কান্ডে সন্দেহের তালিকায় থাকা সেসব ক্রিকেটারের নাম আর ম্যাচ তালিকা। যদিও এখন পর্যন্ত অপরাধ প্রমাণিত বলার উপায় নেই। অতশী কাঁচের নিচে বিপিএলকে রেখে তদন্তে নেমেছে এন্টি করাপশন ইউনিট।

সন্দেহের তালিকায় থাকা চার ফ্র্যাঞ্চাইজি। ছবি: এখন টিভি
চলতি আসরে ফিক্সিং কান্ডে সর্বোচ্চ ১২টি ঘটনায় আকু'র সন্দেহে তালিকার আছে দুর্বার রাজশাহী। সমান সংখ্যক ঘটনায় তালিকার পরের নাম ঢাকা ক্যাপিটালস।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের দিকে সন্দেহ ৬টি ঘটনায়, আর তালিকার আরেক নাম চিটাগং কিংস। যাদের নামের পাশে আছে ২টি সন্দেহজনক ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ।
ফিক্সিং কান্ডে এখন পর্যন্ত আটটি ম্যাচকে বসানো হয়েছে আকুর অপারেশন টেবিলে। ৬ জানুয়ারি বরিশালের বিপক্ষে রাজশাহীর ম্যাচ, ৭ জানুয়ারি রংপুর-ঢাকা ম্যাচ, ১০ জানুয়ারি ঢাকা-সিলেট, ১২ জানুয়ারি রাজশাহী-ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি চিটাগাং-সিলেট, ২২ জানুয়ারির দুটি ম্যাচ আর ২৩ জানুয়ারি রাজশাহীর বিপক্ষে রংপুরের ম্যাচে ফিক্সিংয়ের গন্ধ পেয়েছে এন্টি করাপশন ইউনিট।
এবার আসা যাক সন্দেহের তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের নাম। তালিকায় সর্বোচ্চ ৩টি ঘটনায় ফিক্সিং সন্দেহে আছেন এনামুল হক বিজয়, থিসারা পেরেরা, পেসার শফিউল আলম আর মোহর শেখ।
দু’টি ঘটনায় সন্দেহ আল-আমিন হোসেন, আলাউদ্দিন বাবু, আরিফুল হক, শুভাম রাঞ্জানের দিকে। একটি করে ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় আছে নাজমুল ইসলাম অপু ও মোহাম্মদ মিথুন আলির নাম।

যে ৮ ম্যাচ নিয়ে তদন্ত চলছে। ছবি: এখন টিভি
সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক শামীম চৌধুরী বলেন, ‘বল হোয়াইড হচ্ছে কোথায়? পাশের পিচের অনেকটা অংশে বল চলে যাচ্ছে। এইটা নিয়ে প্রশ্নই আসে। বেশ কিছু হার নিয়ে কথা হচ্ছে। যেখানে ক্লোজ মাজিংয়ের রেজাল্টে সবাই ধরে নিচ্ছে যে জিতবে তার উল্টাটা হচ্ছে।’
যদিও সন্দেহের তালিকায় থাকা এসব তথ্য নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চায় না ক্রিকেট বোর্ড। যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, বিষয়টি নিয়ে এখনো কাজ করছে এন্টি করাপশন। অর্থাৎ প্রচলিত আইন অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ বলেই গণ্য হবে।
তবে ওই যে বলে না? যা রটে তা কিছু তো বটে-আর তাই যদি হয়, তবে এমনও দেখা যেতে পারে, ফিক্সিং কান্ডে নাম এসেছে দেশের তারকা ক্রিকেটারদের। যারা এখনো খেলছেন লাল সবুজ জার্সি গায়ে, তাও আবার প্রধান চরিত্রে।