বিপিএলের মাঝ বিরতিতেও বিসিবিতে চাপা অস্থিরতা। সংস্থাটির সাথে ঢাকার ক্লাবগুলোর দ্বিমুখী অবস্থান, প্রথম বিভাগ ক্রিকেট শুরু হওয়া নিয়ে টানাপড়েন ও অনিশ্চয়তায় স্বস্তিতে নেই বিসিবি।
গঠনতন্ত্রের সংশোধনী প্রস্তাবে ক্লাবগুলোর পরিচালক ও কাউন্সিলরের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমানোর প্রস্তাবে নাখোশ ক্লাবগুলো। তাহলে কি হওয়া উচিত বিসিবির পদক্ষেপসমূহ?
ক্রীড়া বিশ্লেষক ও সাংবাদিক শামিম চৌধুরী বলেন, ‘ক্লাব কোটার যে কাউন্সিলর ছিল ৭৬ থেকে কমিয়ে ৩০ এবং ১২ জনের জায়গায় পরিচালক সংখ্যা ৪ এ নামিয়ে এনেছেন। লীগ যদি স্থগিত হয়ে যায় এবং ক্লাবগুলোকে মাঠে না আনতে পারে তাহলে এটা ক্রিকেট বোর্ডের বড় ব্যর্থতা।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে ক্রিকেট বোর্ডকে আস্থার জায়গাটা তৈরি করতে হবে, ক্লাবগুলোকে কাছে আনতে হবে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে, আপনি বললেন বিভিন্ন কমিটি পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে নজরদারি সেটা আনতে হবে।’
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার দুই যুগ পরেও, আগের মতই বিসিবির ওপর ক্লাবগুলোর প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক ক্রিকেটার ইশতিয়াক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘ক্লাবগুলোর অনেক অবদান ছিল। ক্লাব না থাকলে ক্রিকেটও আজকে এ পর্যন্ত আসতো না। জনপ্রিয়তার কারণে কিন্তু বাংলাদেশকে টেস্ট স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু স্ট্যাটাস পাওয়ার পর সামনের দিকে দেখতে হবে।’
ক্লাব ইস্যুর সমাধান হলে সমস্যা খুঁজে বের করতে বিসিবির অভ্যন্তরীণ সমস্যারও। কার্যকরী পদক্ষেপে গুরুত্ব না দিয়ে শুধু নীতিমালা আর ক্রিকেটারদের নিয়ে কথা বলা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সাবেক ক্রিকেটার। বলেছেন বিসিবির কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে বজায় রাখতে হবে পেশাদারিত্ব।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটের জন্য ক্রিকেট বান্ধব সংবিধান করতে হবে। তবে তার মানে এই না এখানে রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে হবে। আমাদের একটা রোডম্যাপ সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বা ক্যারি ফরোয়ার্ড করার জন্য একজনকে দিয়ে হবে না। এজন্য সমান দক্ষ ১০ থেকে ১২ জন সদস্য লাগবে। যারা কোনো দলকে রিপ্রেজেন্ট করবে না। ক্রিকেট দল হোক বা রাজনৈতিক দল হোক। এগুলো থেকে বের হতে হবে।’
আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল কিন্তু ক্রিকেটের যাবতীয় উন্নতির প্রক্রিয়া বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। সমালোচকরা-দায়িত্বে এসেছেন আবার সময়ের পরিক্রমায় দায়িত্বপ্রাপ্তরা হয়েছেন সমালোচক। তবে প্রশ্নগুলো থেকে গেছে প্রশ্ন হয়েই।