নাহিদ রানা স্পেশাল, অন্তত বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে। ঘণ্টায় গতি ১৫০ কিলোমিটারের সাথে লাইন আর লেন্থ। তাই দেশের এই স্পিডস্টারের প্রতি আলাদাভাবে মনোযোগী কোচ ও বিসিবি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর জাতীয় দলে থাকা পেসারদের বিশেষ ছুটি দেয়া হয়েছিল। তবে ছুটি শেষ হওয়ার আগেই বিসিবির অনুমতি সাপেক্ষে নাহিদ রানাকে খেলিয়েছে আবাহনী। পরের ম্যাচেই আবারও বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে চাঁপাই এক্সপ্রেসকে। জাতীয় দল আর ওয়ার্কলোড বিবেচনায় নিয়ে পুরো আসরজুড়েই নাহিদ রানাকে নিয়ে ভিন্ন প্ল্যান কোচ হান্নান সরকারের।
তিনি বলেন, 'নাহিদ রানার বিষয়ে যখন ফিজিও বাইজীদ ভাই আর ট্রেইনার নাথানের সাথে যোগাযোগ করি তারপর তার প্রোগ্রাম সম্পর্কে আইডিয়া পাই। ঈদের আগে পর্যন্ত আমাদের যে ম্যাচগুলো রয়েছে। আমরা আইডিয়া করে নিয়েছি কার সঙ্গে কবে ম্যাচ পড়তে পারে সে অনুযায়ী আমি একটা প্ল্যান সাজিয়ে নাহিদ রানাকে কোন ম্যাচটা খেলাবো সেটা আমি জাতীয় দলে দিয়েছি। তারা সেটাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করেছে।'
মাশরাফি থেকে শুরু করে তাসকিন! দেশের পেসারদের জন্য আতঙ্কের নাম ইনজুরি। আর মুস্তাফিজ-ইবাদতরা ইনজুরি কাটিয়ে আবার ক্রিকেটে ফিরেছেন ঠিকই কিন্তু সেরা ছন্দ এখনও অধরা৷ নাহিদ রানাকে নিয়ে তাই ঝুঁকি নিতে নারাজ হান্নান।
তিনি বলেন, 'ক্লাবগুলোর পাশাপাশি ক্রিকেট বোর্ডের ক্লিয়ার গাইডলাইন থাকা উচিত। এবং সেটাকে ফলোআপ করা উচিত।'
পেসার কিংবা ব্যাটার, জাতীয় দলের কেউই দল পাননি আইপিএলের মেগা নিলামে। ক'দিন পরেই শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের মাঝে পথে কারও সুযোগ হলে বিসিবির সিদ্ধান্ত কি হবে?
বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বরেন, 'সার্বিক ক্রিকেটের জন্য যেটা বালো হবে সেটা আমরা করার চেষ্টা করবো। অনেক সময় এমন হয় যে ঘরোয়া ক্রিকেট বাদ দিয়েও আমরা কাউকে পাঠাতে পারি। যদি মনে করি ক্রিকেটারের লাভ হবে এবং জাতীয় দলের লাভ হবে তখন যেতে পারে। আবার এমনও হতে পারে ভালো অফার পাওয়ার পরও আমরা কাউকে ছাড়লাম না কারণ তার ডমেস্টিক খেলাটা প্রয়োজন।'
গুঞ্জন আছে, আইপিএলে যাচ্ছেন তাসকিন-মোস্তাফিজরা! তবে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলে দিয়েছেন বিসিবি পরিচালক।