রানের ফোয়ারা আর দর্শকদের উন্মাদনায় যেন ঢাকার সাথে পাল্লা দিচ্ছে চায়ের রাজধানী। সিলেটে দিনের শুরুতে টি-টোয়েন্টির মারকাটারি ম্যাচে পয়সা উসুল বিনোদন পেয়েছে সিলেটবাসী।
স্বাগতিক দর্শকদের সামনে বিধ্বংসী রূপ দেখিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটাররা। রনি তালুকদার ও জাকির হাসানের জোড়া ফিফটির সঙ্গে অ্যারন জোনস এবং জাকের আলীর ক্যামিওতে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা।
বিপিএল ইতিহাসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে রংপুর। প্রথম ওভারেই দলীয় ২ রানে তানজিম সাকিবের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথে হাঁটেন তরুণ ওপেনার আজিজুল হাকিম। সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠে সিলেটের বোলারদের নাকানিচুবানি খাইয়ে বিদ্যুৎগতিতে রান তোলেন এলেক্স হেলস ও সাইফ হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১৮৬ রানের জুটি, যা বিপিএল ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি।
তানজিম সাকিবের বলে সাইফ হাসান ক্যাচ হয়ে ফিরলে ভাঙে এই মহাকাব্যিক জুটি। ফেরার আগে ৪৯ বলে ৩ চার এবং ৭ ছক্কায় ৮০ রান করেন সাইফ।
তবে হেলস সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর ১১৩ রানে অপরাজিত থেকে এক ওভার হাতে রেখেই দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে।
দিনের আরেক ম্যাচে এমন উইকেটে যেমন ব্যাটিং প্রয়োজন পাওয়ার প্লেতে সেটাই করেছিলেন দুর্বার রাজশাহীর ব্যাটাররা। তবে সময় যত বেড়েছে রানের চাকায় যেন ততোই আটকেছেন এনামুল হক বিজয়রা। ফাহিম আশরাফ ও শাহীন শাহ আফ্রিদির বিপক্ষে যেন পেরেই উঠতে পারছিলেন না বিজয়, রায়ান বার্লরা। শেষ ৫ ওভারে এসেছে তাই মাত্রই ৩৫ রান। ভালো শুরুতে প্রথম ১২ ওভারেই শতরান তোলার পরও রাজশাহীকে তাই থামতে হয়েছে ১৬৮ রানে।
জবাব দিতে নেমে কিছুটা ধীরে শুরু করে ফরচুন বরিশাল। শান্তর বদলে একাদশে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে না পারা প্রীতম কুমার ফিরলেও পাওয়ার প্লেতে ঝড় তোলেন কাইল মেয়ার্স ও তামিম ইকবাল। যদিও মেয়ার্স ফিরেছেন ১১ বলে ২৪ রান করে। তবে একপ্রান্তে ঠিকই রাজশাহী বোলারদের বিপক্ষে রান বের করছিলেন তামিমকে।
বরিশালকে ৭ উইকেটে জয় এনে দিয়ে বাঁহাতি ওপেনার অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে। তাকে সঙ্গ দেয়া মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান। এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচের দুটিতে জয় পেয়েছে বরিশাল।