বছরের শেষ ওয়ানডেতে হারলো বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চার ফিফটির সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং জাকের আলী অনিকের রেকর্ড পার্টনারশিপে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৩২১ রান। বছরে প্রথমবার ৩০০ পেরুনো পুঁজি পায় টাইগাররা।
শুরুর বোলিংটাও হয় দুর্দান্ত। ইনিংসের ২য় ওভারেই উইন্ডিজ শিবিরে ধাক্কা দেয় বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদের সেই ওভারে ১৪ রান এলেও শেষ বলে রানআউট হন ব্রেন্ডন কিং। পরের ওভারেই বোল্ড করেন অ্যাথানেজকে।
অধিনায়ক শাই হোপ টিকতে পারেননি বেশি সময়। হাসান মাহমুদের করা অফ স্টাম্পের বাইরে বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন সৌম্য সরকারকে। ৩১ রানেই ৩ উইকেট হারায় উইন্ডিজরা । ইনিংসের ১৫তম ওভারে রাদারফোর্ডকে আউট করেন তাসকিন। এরপর ক্রিজে আসেন নবাগত আমির জাঙ্গু।
জাঙ্গু-কার্টি দু'জন মিলে ১৩২ রানের জুটি গড়েন। রিশাদের বলে দারুণ এক ক্যাচে কেসি কার্টিকে ফেরান সৌম্য সরকার। ৯৫ রানে থামে তার ইনিংস। রস্টন চেজকে বেশি সময় ক্রিজে থাকতে দেননি রিশাদ। নিজের বলে অসামান্য এক ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন এই লেগি। গুদাকেশ মোতিকে নিয়ে এরপর শেষটা করেছেন আমির জাঙ্গু।
৭৯ বলে সেঞ্চুরি করেন জাঙ্গু। ৯০ রানের জুটি গড়েছেন গুদাকেশ মোতির সঙ্গে। মোতি অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। ক্যারিবিয়ানরা জয় পায় ৪ উইকেটে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ৯ রানে ২ উইকেট হারালেও বাংলাদেশকে টেনে নিয়েছেন দুই ব্যাটার সৌম্য সরকার এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। তাদের ব্যাটে আসে ১৩৬ রানের কার্যকরী এক জুটি। সৌম্য থেমেছেন ৭৩ রানে আর মিরাজ করেন ৭৭ রান।
মাঝে ২৬ রানের ব্যবধানে মিরাজ সৌম্যর সঙ্গে ফিরে যান আফিফ হোসেনও। আরও একবার দলের ত্রাতা হয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং জাকের আলী অনিক। দু'জনের ব্যাটে জুটি আসে ১৫০ রানের। যা ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। জাকের ৫৭ বলে ৬২ এবং রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ৬৩ বলে ৮৪ রান করে।