জেতা ম্যাচ কীভাবে হারা যায়, তা হয়তো বাংলাদেশকে না দেখলে বোঝা বড় দায়। শেষ ১২ ওভারে যখন ওভার প্রতি ক্যারিবীয়দের রান দরকার ৮ এর বেশি, তখন অপরিকল্পিত বোলিং আর শাইহোপ রাদারফোর্ডদের তাণ্ডবে ১৪ বল আগেই ম্যাচ বের করে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেন্ট কিটসে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলার কাপ্তান মেহেদি মিরাজ। শুরুতে ভালো কিছুর আভাস দিয়েও উইকেটে টিকতে পারেননি সৌম্য সরকার। সৌম্যের পথ ধরেই হাঁটেন লিটন।
ব্যক্তিগত ২ রানে ধরেন সাজঘরের পথ। এরপর তরুণ তানজীদকে নিয়ে টাইগারদের ম্যাচে ফেরান ক্যাপ্টেন মিরাজ। ৭৯ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৬০ রানে ফেরেন তানজীদ। তবে মিরাজের ৭৪, রিয়াদের ৫০ আর জাকের আলীর ৪৮ রানে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯৪ রান
বোলিংয়ে এসেও শুরুতে ম্যাচের হাল ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। নাহিদ-সাকিবের বোলিং তোপে দলীয় ২৭ রানেই ২ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। শতরানের আগে ৩ উইকেট হারালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রাতা হয়ে উইকেটে আসেন শাইহোপ-রাদারফোর্ড জুটি।
১০০ রানের পার্টনারশিপে বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয় তারা। ৮৬ রানে হোপ ফিরলেও ততক্ষণে উইকেটে খুঁটি গেড়েছেন রাদারফোর্ড। ১১৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি।
তবে ততক্ষণে টাইগারদের কপালে লেখা হয়েছে হারের গল্প। উইন্ডিজের হয়ে ফিনিশিংটা দেন জাস্টিন গ্রিভস আর রোস্টন। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।