গেল ক'দিনের নিয়মিত ছবি, সেন্ট্রাল উইকেটে নেট লাগিয়ে অনুশীলনে ব্যস্ত তামিম ইকবাল খান।
গেল বছরের সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে শেষবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক। এরপর দীর্ঘ সময় ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রাখেন তামিম। তবে গেল দশ দিনে বদলেছে চিত্র।
ক্রিকেটে ফেরার নেশায় নিয়মিত অনুশীলন করছেন মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে। ইনডোর- জিম কিংবা সেন্ট্রাল উইকেট, সবখানেই যেন অবাধ বিচরণ খান সাহেবের।
যদিও বিসিবির গঠনতন্ত্র বলছে, হোম অব ক্রিকেটের ফ্যাসিলিটিস কেবল কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের জন্যই বরাদ্দ। বিশেষ বিবেচনায় সেখানে অনুশীলনের সুযোগ পেতে পারেন এইচপি কিংবা ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা।
আর সেন্ট্রাল উইকেটে অনুশীলনের সুযোগ পান শুধুই কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা। তবে গেল বছর থেকে চুক্তিতে না থাকা তামিমের বেলায় কেন অনিয়ম?
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস বলেন, ‘সে জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন ছিল এবং সে দলে ফিরতে পারে। দেশের প্রিমিয়াম ফ্যাসিলিটিসগুলো তো প্রিমিয়াম প্লেয়ারগুলোর জন্যই হওয়া উচিত। দুই বছর আগেও সে ন্যাশনাল টিমের ক্যাপ্টেন ছিল। সে যদি কিছু ফ্যাসিলিটিস আশা করে, সে তো এটা অর্জন করেছে। ’
নিয়ম ভেঙে আয়োজন করে তামিমকে এত সুবিধা দিতে কেন উঠেপড়ে লেগেছে বিসিবি? তাহলে কি শীঘ্রই দলে ফিরছেন তামিম? ফিরলে সেটি কখন? তিন মাস পরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নাকি আসন্ন উইন্ডিজ সফরেই?
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি সে চায় আর সিলেক্টররা যদি দলের জন্য তাকে নির্বাচন করে।’
দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম ভেন্যু মিরপুর স্টেডিয়াম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কালেভদ্রে যেটুকু বিশ্রাম মেলে, সেটিও যথেষ্ট নয় এখানকার উইকেটের জন্যে। তবে একজন তামিম ইকবালের জন্য উইকেটের ওপর আরেকটু ধকল না হয় গেল।
কিন্তু এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে অন্তত তিন ম্যাচ খেলার কথাও বোর্ডকে জানিয়ে রেখেছেন তিনি, যেটি উইন্ডিজ সফরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এমন জটিল সমীকরণের উত্তর খুঁজতে অপেক্ষা করতে হবে দল ঘোষণা পর্যন্ত ।