এখন মাঠে
0

পারিশ্রমিক নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর নয়-ছয় বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে

প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও পারিশ্রমিক বুঝে পাননি দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। যদিও ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক না পাবার বিষয়ে কিছুই জানে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে পারিশ্রমিক নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর নয়-ছয় বিশ্ব দরবারে নষ্ট করছে দেশের ভাবমূর্তি, মনে করেন বিসিবির পরিচালক ও টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এগারতম আসরকে জোড়াতালির বিপিএল বললে হয়তো ভুল হবে না। বিপুল দর্শকের সমাগমে চলছে টুর্নামেন্ট, তবে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকটা ঠিকঠাক মিলছে না।

পারিশ্রমিকের কোনো অর্থ না পেয়ে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা বর্জন করেছিল নিজেদের অনুশীলন। সে যাত্রায় বিসিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি হয়েছে স্বাভাবিক। তবে গুঞ্জন আছে, প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও পারিশ্রমিক বুঝে পাননি ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। এ নিয়ে বিসিবিতে অভিযোগও করেছেন একজন বিদেশি খেলোয়াড়। যদিও এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না, বিসিবি'র পরিচালক আকরাম খান।

তিনি বলেন, 'এটা আমরা জানি না। কিন্তু উনার সাথে যখন আমরা বসেছিলাম তখন বললেন যে টাকা দিয়ে দিবেন। উনিও স্বীকার করেছেন যে মিস ম্যানেজমেন্টের জন্য টাকাটা দিতে দেরি হচ্ছে। উনি কথা দিয়েছেন যে টাকাগুলো দিয়ে দিবেন।'

চট্টগ্রামে রাজশাহীর ক্রিকেটারদের সাথে বিসিবির সেই আলোচনায় ছিলেন আকরাম খান। বিপিএলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে এমন নয়-ছয় বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে বলে জানান দেশের সাবেক এই অধিনায়ক।

আকরাম খান বলেন, 'আমাদের প্রচুর দর্শক হয়। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বাংলাদেশে ভালো খেলোয়াড়রা খেলতে আসবে না। জিনিসটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। এবং এটা খুব সুন্দরভাবে আমাদের হস্তক্ষেপ করতে হবে যেন এরকম না ঘটে।'

এদিকে শুধু বিপিএল নয়, অস্থিরতা দেশের ক্লাব ক্রিকেটেও। ক্রিকেট বোর্ডের সাথে গঠনতন্ত্র সংস্কার নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে ঢাকার ক্লাব কর্তারা। আকরাম খান মনে করেন, গঠনতন্ত্রে সংস্কার আনতে ক্লাব সংগঠকদের সাথে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আকরাম খান বলেন, 'আমরা যখন খেলতাম আবহনী-মোহামেডান ম্যাচে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার মানুষ খেলা দেখতে আসতো। আজকে ক্রিকেট এই পর্যায়ে আসার জন্য ক্লাব ক্রিকেটের অবদান অনেক। এটা কিন্তু মানতে হবে। ক্লাব ক্রিকেটে যারা আছেন তাদের যদি প্রোপারওয়েতে সম্মান না করি তাহলে উনারা আসবেন কেন? আমার মনে হয় যা কিছু ডিসিশন নেয়া হয় এটা উনাদের সাথে বসে এটা মীমাংসা করে ফেললেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে।'

দেশের ক্রিকেটে স্থিতিশীলতা আনতে চলতি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডসভা। এই বোর্ড সভার পরেই হয়তো বোঝা যাবে, কী হবে নতুন বোর্ড পরিচালকদের ভবিষ্যৎ।

এসএস