প্রায় ৭ সেশন হাতে রেখে ৫১৫ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশকে দিয়েছিলো ভারত। তবে ব্যাট হাতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিতে খেলেছিলেন ব্যাটাররা। প্রথমবারের মতো ভারতের মাটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ওপেনিং জুটিও গড়ে জাকির-সাদমান। এটিকে পরের ম্যাচের জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন শান্ত।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, 'ইতিবাচক হচ্ছে হাসান-তাসকিন-রা প্রথম ২-৩ ঘণ্টা যেভাবে বোলিং করেছে সেটা। এরপর অবশ্য ভারত খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। পেস বোলিংই এখানে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আমরা নতুন বলে শেষ কয়েকটি সিরিজে খুবই ভালো বল করেছি। এটি খুবই দারুণ ব্যাপার। কিন্তু আমাদের সেটা ধরে রাখতে হবে।'
চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টায় ব্যাটিংয়ে ধুকলেও উইকেট ছুড়ে দেয়নি শান্ত-সাকিব। দেখেশুনেই খেলছিলেন দুই ব্যাটার। তবে সাকিবের আউটের পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে ব্যাটিং লাইন আপ। যদিও এবারও সতীর্থদের পক্ষেই ব্যাট ধরে প্রতিপক্ষের বোলারদের বেশি কৃতিত্ব দিলেন টাইগার দলপতি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আরও বলেন, 'আজ আমরা চেষ্টা করেছি যতক্ষণ সম্ভব ব্যাটিং করে যাওয়ার এবং ফলের কথা না ভেবে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী খেলে যাওয়ার। একইসঙ্গে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটাররা ভালো করবেন এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছেন শান্ত। আমাদের বোলাররা ভালো করেছে, আশা করি ব্যাটসম্যানরাও ভালো করবে।'
চেন্নাই টেস্টের মাঝেই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে উঠেছিল বড় প্রশ্ন। তিনি কী আঙুলে চোট নিয়ে খেলেছেন এই টেস্টে? পরের ম্যাচে সাকিবকে একাদশে রাখা হবে কি না, এই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে সবখানে। শান্ত অবশ্য সাকিবের পক্ষেই সাফাই গাইলেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত আরও বলেন, 'আঙুলে চোট পেয়েছিল এবং ব্লিডিং ও হয়েছিল যার কারণে টেপটা প্যাঁচানো। আমি যেটা দেখি যে কতটুকু চেষ্টা করছে বা কামব্যাক করার জন্য যা যা করার দরকার কাজগুলো করছে কিনা। অনেকে ভাবতে পারে সাকিব ভাই বলে আমি বলছি কিন্তু জিনিসটা এমন না।'
নিজের ব্যাটে রান ফিরলেও তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন না শান্ত। বরং হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে দলগতভাবেই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা লাল-সবুজের অধিনায়কের।