প্রায় ৭ সেশন হাতে রেখে ৫১৫ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশকে দিয়েছিলো ভারত। তবে ব্যাট হাতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গীতে খেলেছিলেন ব্যাটাররা। প্রথমবারের মতো ভারতের মাটিতে পঞ্চাশোর্ধ রানের ওপেনিং জুটিও গড়ে জাকির-সাদমান। এটিকে পরের ম্যাচের জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন শান্ত।
তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার শুরুতে ৬২ রান যুক্ত করতে পেরেছে। এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি এটি পরের টেস্ট ম্যাচে আমাদের জন্য সহায়ক হবে।’
চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টায় ব্যাটিংয়ে ধুকলেও উইকেট ছুড়ে দেয়নি শান্ত-সাকিব। দেখেশুনেই খেলছিলেন দুই ব্যাটার। তবে সাকিবের আউটের পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পরে ব্যাটিং লাইন আপ। যদিও এবারও সতীর্থদের পক্ষেই ব্যাট ধরে প্রতিপক্ষের বোলারদের বেশি কৃতিত্ব দিলেন টাইগার দলপতি।
শান্ত বলেন, ‘আজকে আমার মতে সকালের সেশন বেশ কঠিন ছিল। বিশেষ করে সিরাজ যেভাবে বল করছিল। সাকিবও ভালো ব্যাট করেছে। আমরা দলের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এরপর আমি মনে করি আমরা সেভাবে ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। অবশ্যই ভারত ভালো বোলিং করেছে।’
চেন্নাই টেস্টের মাঝেই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে উঠেছিল বড় প্রশ্ন। তিনি কী আঙুলে চোট নিয়ে খেলছেন এই টেস্টে? পরের ম্যাচে সাকিবকে একাদশে রাখা হবে কি না, এই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে সবখানে। শান্ত অবশ্য সাকিবের পক্ষেই সাফাই গাইলেন।
তিনি বলেন, আঙুলের যে ব্যাপারটা টেপ পেঁচিয়েছেন, ব্যাটিংয়ে গ্লাভসে একটা বল লেগেছিল, আপনারা যদি খেয়াল করে দেখেন। একটু ব্লিডিংও হয়েছিল, যার কারণে টেপটা পেঁচানো। আমি যেটি দেখি যে কতটুকু কষ্ট করছে এবং কামব্যাক করার জন্য যা যা করা দরকার তা করছে কি না। অনেকে ভাবতে পারে সাকিব ভাই দেখে আমি এটা বলছি। কিন্তু জিনিসটা এরকম না।’
নিজের ব্যাটে রান ফিরলেও তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন না শান্ত। বরং হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে দলগতভাবেই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা লাল-সবুজের অধিনায়কের।