মূলত লঙ্কান কোচের একনায়কতন্ত্রের বিপক্ষে বিদ্রোহ করেই প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ফারুক আহমেদ। তবে বোর্ড থেকে মোটা অংকের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাভোগী হাথুরুকে বিদায় করার প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে জনমনে ধোঁয়াশা ছিল। তবে, চুক্তির প্রক্রিয়া অনুযায়ী করতে হবে হাথুরুকে বিদায়।
সিনিয়ার ক্রীড়া সাংবাদিক শামিম চৌধুরী জানান, ৬০ দিনের নোটিশে হাথুরুকে বিদায় দেয়া যাবে। সেক্ষেত্রে তাকে বিদায় দিতে হলে ৩ মাসের বেশি বেতন দিতে হবে না বলে মনে করেন এই ক্রীড়া সাংবাদিক। এই তিন মাসে তিনি চাইলে বেতনসমেত এমনি থাকতে পারবেন, আবার চাইলে বিদায়ও নিতে পারবেন।
হাথুরুর সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে আগামী ৬ মাসের বেতন দিয়ে বিদায় করতে হলে প্রায় ২ কোটি টাকা দিতে হবে বিসিবিকে। আর এই বড় অংকের অর্থক্ষতি দিতে নারাজ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ।
সাবেক ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম জানান, হাথুরুকে সরিয়ে দিলে ক্রিকেট বোর্ড ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাকে যদি অন্য কোথাও ব্যবহার করা যায় সেটা ক্রিকেট বোর্ড এবং দেশের জন্য ভালো।
তবে, লঙ্কান হেড কোচের মেয়াদ থাকাকালীন বয়সভিত্তিক কিংবা ‘এ’ দলে কাজে লাগিয়ে আর্থিক ক্ষতি সামলে নেয়ার পরামর্শ সাবেক এ ওপেনারের।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে নিজের প্রথম মেয়াদ সম্পন্ন না করেই নিজ দেশে ফিরে গিয়েছিলেন হাথুরু। যদিও পরবর্তী সময়ে নিজ দেশের কোচের পদ থেকেও বহিষ্কৃত হয়ে প্রায় ৪২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন। এখন বাংলাদেশে দ্বিতীয় মেয়াদে তার ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে সেটার অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে।