বিসিবি পুনর্গঠনে এর আগে সৈয়দ আশরাফুল আলম ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমের নাম শোনা যাচ্ছিল। তবে এ দুইজনকে ছাপিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হলেন ফারুক আহমেদ। জাতীয় দলে খেলা প্রথম ক্রিকেটার ও অধিনায়ক হিসেবে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হওয়ায় আগে থেকে বিসিবির কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। ফলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনীত পরিচালক হিসেবে যুক্ত হন ক্রিকেট বোর্ডে। সবশেষ আজ তাকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হলো।
দেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিসিবির নীতিনির্ধারক পর্যায়ে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। ১৯৬৬ সালের ২৪ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলে। মূলত মিডল অর্ডারে ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন ফারুক আহমেদ। তবে দলের প্রয়োজনে টপ অর্ডারেও খেলেছেন তিনি।
১৯৮৮ সালের ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রামে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় তার। একই দিনে অভিষেক হয়েছিল আকরাম খান ও ওয়াহিদুল গণির। ১৯৯০ সালে চন্ডিগড়ে ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ওই ম্যাচে তৃতীয় উইকেটে আতহার আলী খানের সঙ্গে ১০৮ রানের জুটি গড়েছিলেন ফারুক।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবেও তার সফলতা রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৯৩-৯৪ সালে তাকে জাতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়। তার নেতৃত্বে কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৯৯৪ সালের আইসিসি ট্রফিতে অংশ নেয় বাংলাদেশ দল। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ফারুক আহমেদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসন বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন ফারুক আহমেদ। খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসরের পর যুক্ত ছিলেন ক্রিকেটের উন্নয়নে। দুই মেয়াদে জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্বও পালন করেছেন, ছিলেন প্রধান নির্বাচকও।
নতুন দায়িত্ব নেয়ার পর আগামীর পরিকল্পনার কথাও জানালেন সোজাসাপ্টা। ফারুক আহমেদ বলেন, ‘যতোদিন দায়িত্বে থাকবো ততোদিনের মধ্যে দুর্নীতি যা হয়েছে, সেটা আমরা দেখবো। কথা কমিয়ে দিয়ে ক্রিকেটের ভালোর জন্য আমরা কাজ করবো। সভাপতি থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য দেখতে চাই।