দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন বিদেশিরা। হেড কোচ থেকে ব্যাটিং, বোলিং, এমনকি ফিল্ডিংয়েও প্রাধান্য তাদের।
দুই বছরের চুক্তিতে দ্বিতীয় দফায় চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর টাইগারদের পারফরমেন্স নিয়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য আসছে বিভিন্ন পর্যায় থেকে।
মাসে ৩৫ লাখ টাকা বেতনে নিয়োগ দেয়া হাথুরুকে নিয়ে বিসিবির প্রত্যাশা ছিল অনেক। বিপরীতে প্রাপ্তি কতটুকু? দায়িত্ব নেয়ার পর ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবি। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নেই আশানুরূপ পারফরমেন্স
এছাড়া সহকারী কোচ নিক পোথাসের বেতনটাও ২০ লাখের বেশি। তাদের মধ্যে সবচেয়ে কম বেতন শুধুমাত্র ট্রেইনার নাথান কেলি। তাও আবার সাড়ে ৯ লাখ টাকা।
মাসে ২ কোটি টাকার বেশি বিদেশি কোচদের পেছনে খরচ করছে ক্রিকেট বোর্ড। তাহলে ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স নিয়ে কেন সন্তুষ্ট নন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা, এমনকি দেশবাসীও? এই যখন অবস্থা, তখন বিদেশি কোচের পরিবর্তে দেশিয় কোন কোচ দায়িত্ব পেলে সমস্যা কি? উত্তরটা দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘শেখার জন্য সহকারী কোচ হলে সমস্যা কি? আপনি কেন শিখতে চাইবেন না? আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে আমরা কেউ শিখতে চাই না। স্যালারি আমি ঠিকভাবে দিবো কিন্তু শিখতে হবে।’
বিসিবি সভাপতির কথাতেই স্পষ্ট জাতীয় দলে দেশি কোচ রাখার আগ্রহ আছে তবে সেটা সহকারী হিসেবে। তাহলে কী প্রধান কোচের দায়িত্ব নেয়ার মতো কেউ নেই দেশে? নাকি অন্য কোনো ব্যাপার রয়েছে এখানে?
ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, দেশি কোচের যখন আগ্রহ ছিল তখন তাদেরকে তখন রেসপন্স করা হয়নি। যেই কোচরা ১০ থেকে ১২ বছরে ধরে কোচের দায়িত্ব পালন করছে তারা তো হুট করে সহকারী কোচ হবে না।
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কোচ বলছেন, বিদেশি কোচদের যেভাবে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়, দেশিয়রা তা পান না। সেটাও একটা বড় কারণ কোচ হিসেবে বিসিবির সাথে সুজন বা সালাউদ্দিনের যুক্ত না হওয়ার।
মাসে ২ কোটি টাকার বেশি অর্থ খরচের পাশাপাশি আরো অনেক সুযোগ সুবিধা নিয়ে থাকেন বিদেশি কোচরা। এতে করে বিপুল পরিমাণ মূল্যবান ডলারও চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। তবে দেশী কোচদের প্রাধান্য দিলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বিসিবি এমনটাই মনে করেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।