সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে আইপিএলের মান বাড়ছে কয়েকগুণ। ক্রিকেটীয় ফ্রাঞ্চাইজির সবচেয়ে দামি আসরটিকে আকর্ষণীয় করতে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নানা নিয়ম। এবার নতুন এক প্রস্তাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা। এ প্রস্তাবে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়তে পারে কয়েকগুণ।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, নিলামে বিক্রি হওয়া ক্রিকেটারদের পরে আর পারিশ্রমিক বাড়ানোর সুযোগ থাকে না। যে কারণে, দল চাইলেও অনেক সময় পারিশ্রমিক বাড়িয়ে তাকে ধরে রাখতে পারে না। বরং, পরের নিলামে অন্য কোনো দল বেশি মূল্যে, তাকে নিয়ে নিতে পারে। এজন্য এই নিয়ম বদলাতে চায় আপিএলের দলগুলো। তারা চাইছে নিলামের চুক্তির বাইরেও খেলোয়াড়দের বেতন ভাতা বাড়ানো যাবে।
আইপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ ৯০ কোটি রুপি খরচ করতে পারে একটি ফ্রাঞ্চাইজি। তবে আগামীতে এটা বেড়ে ১৩০ থেকে ১৪০ কোটি রুপি হতে পারে। যেটা আগামী ডিসেম্বরে আইপিএলের বড় পরিসরের নিলামে কার্যকর হতে পারে।
আইপিএলে প্রতি আসরের আগে ছোট পরিসরে নিলাম বসে। যেখানে ক্রিকেটারদের নিয়ে খুব বেশি দরকষাকষির সুযোগ থাকে না। আর বড় পরিসরে যে নিলাম হয় সেটা প্রতি ৫ বছর পর। যেখানে চুক্তি করা সর্বোচ্চ ৫ ক্রিকেটারকে ৫ বছর পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে দলগুলো। তবে আগামীতে ৮ ক্রিকেটার রাখার পরামর্শ দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা। ২০১৮ সালে মেগা আসরে প্রথম ৫ ক্রিকেটার চুক্তির বিষয়টি কার্যকর হয়, আগে যেখানে সুযোগ ছিল তিন ক্রিকেটারের।
ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর পাশাপাশি আগামী নিলামে খেলোয়াড় কেনার বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। ২০২৫-২৬ আসরগুলো হবে ৮৪ ম্যাচের। আর ২০২৭ সালে সেটা বেড়ে এক আসরে হবে ৯৪ ম্যাচ। ফলে ক্রিকেটারদের বিশ্রামের সুযোগও কমে আসবে। এ কারণে তাদের পারিশ্রমিকও বেড়ে যেতে পারে কয়েকগুণ। সবকিছু বিবেচনা করেই এসব প্রস্তাবনা দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা। এছাড়া এখনই বন্ধ হচ্ছে না আইপিএলের ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটারের বদলির নিয়ম।