চলমান নারী এশিয়া কাপের আসর বাদে চলতি বছরটা নিজেদের মাঠে ঘুরে ফিরে খেলেছে টাইগ্রেসরা। এরপরও মিরপুর ও চায়ের নগরী সিলেটের মাটিতে জ্বলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। ২২ গজে মুখ থুবড়ে পড়ে দলীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে সেই পুরোনো বাংলাদেশকে দেখলো সমর্থকরা।
শ্রীলঙ্কায় চলমান নারী এশিয়া কাপে টাইগ্রেসদের চেয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম খেলা এবং কম জয়ী দল মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আগ্রাসী রূপে দেখা যায় বাংলাদেশের ব্যাটারদের। প্রতিপক্ষ বোলারদের রীতিমতো শাসন করেছেন দিলারা, মুরশিদা নিগাররা।
আগের ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামা দিলারা আক্তার ও মুরশিদা খাতুনের জুটি মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও বহাল রেখেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট। শুরুটাও দারুণ করেছে এই দুই ব্যাটার। মাহিরা ইসমাইলের বলে দিলারা আউট হলে দলীয় ৬৫ রানে ভাঙ্গে উদ্বোধনী জুটি। দিলারা করেন ৩৩ রান।
তবে, জুটি ভাঙ্গলেও দমে যাননি ২৫ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার মুর্শিদা। যে মুর্শিদাকে প্রথম ম্যাচে একাদশে বিবেচনা করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট সেই মুর্শিদা হাঁকালেন টানা ফিফটি।
এরপর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে নিয়ে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরি করার পথে এগোতে থাকেন এই ব্যাটার। তবে, মুর্শিদার দীর্ঘদিনের তিন অঙ্কের ম্যাজিক অঙ্ক স্বপ্ন ভঙ্গ করেন মালয়েশিয়ান বোলার এলসা হান্টার। ১০ বাউন্ডারি আর এক ওভার বাউন্ডারিতে ব্যক্তিগত ৮০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুর্শিদা খাতুন।
মুর্শিদা থামলেও থামানো যায়নি অধিনায়ক জ্যোতিকে। বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারিতে ১৬৭ স্ট্রাইকরেটে ৩৭ বলে ৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন অধিনায়ক।
দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় এশিয়া কাপে ১৯১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় টাইগ্রেসরা। এর আগে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ ২৫৫ রান সংগ্রহের রেকর্ড আছে ২০১৮ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নদের।
জবাবে খেলতে নেমে দাঁড়াতেই পারেনি মালয়েশিয়া নারীরা। দীর্ঘ এক বছর পর মাঠে নেমে বল হাতে দলের হয়ে শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দেন জাহানারা আলম।
এরপর নাহিদা রিতু মনিদের বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে প্রতিপক্ষ। জুলায়া ও ইসমাইল ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের স্কোর গড়তে পারেনি।
দলীয় ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় মালয়েশিয়া। বিশাল জয়ে ২০২৮ সালের পর সেমিফাইনালের পথ মসৃণ করলো বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে উঠে গেলো বাংলাদেশ।