চলতি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে যেভাবে আসর শুরু করেছিলো আফগানিস্তান তাতে অনেকই ধারণা করেছিলো অনেক দূর যাবে দলটি। তবে, তাদের ছন্দপতন ঘটে গ্রুপ পর্বে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, যেখানে ক্যারিবিয়ানদের কাছে পাত্তাই পায়নি দলটি। খেই হারানো দলটি সুপার এইটে ভারতের কাছেও অসহায় আত্মসমার্পণ করলো।
বারবাডোজে বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো কিছু করারই ইঙ্গিত দিয়েছিলো গুরবাজ ও জাজাই। প্রথম ওভারেই তুলে নেন ১৩ রান। এরপরই শুরু হয় ভারতীয় বোলারদের দাপট। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার বল করতে এসেই রহমানুল্লাহকে ফেরান বুমারহ। ১১ রানে পন্থের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
হযরতুল্লাহ জাজাইকে সঙ্গ দিতে নামা ইব্রাহিম জাদরান বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ক্রিজে। আক্সার প্যাটেল বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে পথ ধরেন তিনি। ফর্মে থাকা জাজাইও ২ রানের বেশি করতে পারেননি। তাকেও থামান বুমরাহ। পাওয়ার প্লে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পরে আফগানরা।
সেখান থেকে ম্যাচের হাল ধরেন ওমারজাই ও নাইব। এই জুটি থেকে আসে ৪৪ রান। কুলদিপ ইয়াদভ এসে এই জুটি ভাঙ্গলে আর কোন ব্যাটারই আর আশা দেখাতে পারেনি। ওমারজাইয়ের ২৬, জাদরানের ১৯ ও নবির ১৪ রান শুধু ব্যবধানটাই কমিয়েছে। ফলে ১৩৪ রানেই থামে আফগানদের ব্যাটিং ইনিংস। ভারতীয়দের হয়ে বোল হাতে দুই পেসরা বুমরাহ ও আর্শদ্বীপ সিং ৩টি করে উইকেট নেন।
এরআগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ভারত। দলীয় ১১ রানেই অধিনায়ক রোহিতকে আটকে দেন ফজলহক ফারুকি। পরে রিশাভ পন্থকে নিয়ে ম্যাচের হল ধরেন রিবাট কোহলি। এই জুটি থেকে আসে ৫১ রান। এই দুজন আউট হলেও রানের চাকা সচল রাখেন সূর্য কুমার ইয়াদব। খেলেন ২৮ বলে ৫৩ রানের এক ঝড়ো ইনিংস। তাকে ফারুকি সাজ ঘরে ফেরালে ব্যাট হাতে হার্দিকের ঝড়ো ২৪ বলে ৩২ করলে ১৮১ রানের পুঁজি পায় ভারত।
আফগানদের হয়ে ফজলহক ফারুকি ও রশিদ খান ৩টি করে উইকেট নেন। সুরাইয়া কুমারের ফর্মে ফেরা ইনিংস তাকে করেছে ম্যাচসেরা।