গ্রুপ অফ ডেথে সুপার এইটের সমীকরণ মেলাতে হলে বাংলাদেশের এবারের পরীক্ষা দিতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। যারা এই আসরের হট ফেভারিট দল। ব্যাটিং গভীরতার পাশাপাশি বোলিং ত্রাস ছড়ানোর মতো। বিশেষ করে ৬ ফুট ৬ ইঞ্চির উচ্চতার বাঁ-হাতি পেসার মার্কোস জানসেনের আন ইভেন্ট বাউন্স, এনরিক নরকিয়ার ১৫০ ওপরে গতি কিংবা কাগিসো রাবাদা ও বার্টম্যানের দুর্দান্ত সুইং বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য রীতিমতো আতঙ্ক! এমন পেস অ্যাটাকের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য।
নিউইয়র্কে টানা দুই ম্যাচ খেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে প্রোটিয়ারা। লঙ্কা ও ডাচদের ব্যাটিং গুড়িয়ে দিয়েছে তাদের পেসাররাই। নিউইয়র্কে যখন টানা তৃতীয় ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার তখন আলোচিত সমালোচিত সানাউ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। যে উইকেট পেসারদের জন্য স্বর্গরাজ্য। এমন উইকেটে শরিফুলের মতো কার্যকরী পেসারকে বাংলাদেশ পাচ্ছে না ইনজুরির কারণে। গতিময় উইকেটে তাই বাংলাদেশের মধ্যমণি তাসকিন আহমেদ। গত ম্যাচে দারুণ কামব্যাক করা তাসকিন নিউইয়র্কের নাসাউতে তুফান হয়ে উঠতে পারলে মিলে যাবে বাংলাদেশের যোগফল।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। চার বছর পর আবারও বিশ্বকাপ মঞ্চে দেখা। তবে এবার ফরম্যাট আলাদা, টি-টোয়েন্টি আর মঞ্চটা নিউইয়র্ক। যেখানে বিজয়ের গল্প রচনা করতে পেসারদের সঙ্গে ব্যাটারদের ভূমিকা রাখতে হবে শতভাগ। আরও একটা সাহায্যের দিক তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। তা হলো টস। এই ভাগ্য পরীক্ষায় জিততেই হবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। কারণ এর আগে নিউইয়র্কে সবগুলো ম্যাচ টস জয়ী অধিনায়ক বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার ফলও পেয়েছে।
সার্বিক বিচারে এ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে থাকলেও আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা হৃদয় -সাকিবরা জয়ের জন্য আপোষহীন। এমন ম্যাচে তাই শরিফুলের সার্ভিস না পাওয়া তাসকিন মোস্তাফিজরাই বাংলার ভরসা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশ হতে পারে ওপেনার তানজিম তামিম ও সৌম্য সরকার, এরপর লিটন দাস, নাজমুল শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। স্পিনার বোলার হিসেবে থাকতে পারে রিশাদ হোসাইন, আর পেসার হয়ে দলে থাকতে পারেন তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিদ সাকিব।