আইসিসির যেকোনো বৈশ্বিক আসর শুরুর আগেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে শুরু হয় ক্ষণগণনা। ক্রিকেট ভক্তদের সব আয়োজন যেন এই ম্যাচ ঘিরে। এর কারণটাও অবশ্য প্রায় সবারই জানা। উত্তেজনা, উন্মাদনা, রোমাঞ্চকর মুহূর্তসহ একটা ম্যাচ আকর্ষণীয় হতে যা যা দরকার প্রায় সবই থাকে এখানে। রাজনৈতিক বৈরিতায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইটা হয় কেবলই বহুজাতিক টুর্নামেন্টগুলোতে। ফলে আয়োজকদেরও চেষ্টা থাকে এমনভাবে সূচি করতে যেন অন্তত এক বা একাধিক ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পায় এই দুদল।
তেমনি আরও একবার পাকিস্তান-ভারত মহারণ দেখতে মুখিয়ে আছে ক্রিকেট অনুরাগীরা। টি-টোয়েন্টির এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মাঠে নামছে বাবর-রোহিতের দল। যুক্তরাষ্ট্রে হলেও এ ম্যাচের টিকিট নিয়ে আসর শুরুর অনেক আগেই শুরু হয় কাড়াকাড়ি। বাণিজ্যিক কারণে এ ম্যাচটা বহুল কাঙ্ক্ষিত আয়োজক, স্পনসর ও ব্রডকাস্টারদের কাছেও।
এবারের বিশ্বকাপে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি রিজওয়ান, শাদাব, ইফতিখারদের। আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরেছে তারা। সেই রেশ কাটার আগেই তাদের সামনে এবার শক্তিশালী ভারত। যাদের বিপক্ষে বৈশ্বিক মঞ্চে রেকর্ডটাও খুব একটা পক্ষে নেই পাকিস্তানের। চলতি আসরেও শুরুটা ফেবারিটের মতই করেছে রোহিত-কোহলিরা।
এই দ্বৈরথে কেবল জয়ের হিসাবনিকাশ নয়, থাকে ব্যক্তিগত লড়াইও। দুই দলেই আছে কয়েকজন বিশ্বসেরা ক্রিকেটার। তাদেরকে নিয়ে ভক্তদের মাঝে চলে কথার লড়াই। এর মধ্যে সবার নজর থাকে ভিরাট কোহলি, বাবর আজমের দিকে। দুজনই নিজ দলকে জিতিয়েছেন বহুবার। তবে এবারের আসরে ভারতের মিডল অর্ডার বেশি শক্তিশালী। বিপরীতে শাদাব-ইফতিখাররাও যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের হাল ধরতে জানেন।
শুধু ব্যাটিংই না দুদলেরই আছে বিশ্বমানের বোলার। একদিকে ভারতীয়দের সামলাতে হবে শাহিন শাহ, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, মোহাম্মাদ আমিরের মতো অভিজ্ঞ বোলারদের। অন্যদিকে বুমরাহ , সিরাজ, কুলদিপ ইয়াদবরাও যেকোনো ব্যাটারদের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারেন। ফলে ভালো বোলিংও পাল্টে দিতে পারে ম্যাচের সমীকরণ।
প্রথম ম্যাচে হারের গ্লানি ভুলে আসরে টিকে থাকতে পারবে তো পাকিস্তান? নাকি মর্যাদার লড়াইয়ে ভারতীয়রা ধরে রাখবে তাদের আধিপত্য?