ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয় কানাডার

জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছাড়ে আয়ারল্যান্ড। উল্টো দিকে আইরিশদের ১২ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথম জয় কানাডার। প্রথমে ব্যাটিং করা কানাডা ৭ উইকেটে ১৩৭ রান দেয় আইরিশদের। জবাবে রান তাড়ায় বিপর্যস্ত দলকে গুছিয়েও শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চি করতে পারেনি আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা।

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের পিচ যেন এক দুর্বোধ্য গোলকধাঁধা। অন্তত স্টেডিয়ামে হওয়া সাউথ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা আর ভারত-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে পিচের অসম বাউন্সে ব্যাটারদের অসহায়ত্ব স্পষ্ট। প্রথমে ব্যাট করা কোনো দলই ছুঁতে পারেনি তিন অঙ্কের ঘর। তবে স্টেডিয়ামে হওয়া তৃতীয় ম্যাচে পিচের আচরণ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের স্কোরও পাল্টেছে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে কানাডা। অ্যারন জনসন ও নাভনীত ধালিওয়াল প্রথম ম্যাচে সফল হলেও এই ম্যাচে ব্যর্থতায় শেষ হয় দুই উদ্বোধনী ব্যাটারের ইনিংস। পরে স্কোরবোর্ডে দলীয় ৫৪ রান উঠতেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে কানাডিয়ানরা।

প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০০ রান পার না করার শঙ্কা জাগে কানাডার। তবে প্রতিপক্ষের বোলারদের ফাঁকি দিয়ে নিকোলাস কিরটন এবং শ্রেয়াস মভ্ভো পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৬৩ বলে করেন ৭৫ রান। নিকোলাস ৪৯ আর শ্রেয়ান ৩৭ রানে আউট হলে ৭ উইকেট হারিয়ে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৭ রান।

জবাবে খেলতে নেমে চেনা উইকেটে থিতু হতে খাবি খায় আয়ারল্যান্ডের টপ অর্ডার থেকে মিডেল অর্ডার ব্যাটাররা। পল স্টারলিং, লরকান টাকার, কার্টিস ক্যাম্ফার কেউই খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। দলীয় ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অনেকটা বিপর্যস্ত আইরিশরা।

তবে ধীরে ধীরে হার থেকে জয়ের দিকে দলকে নিয়ে যান জর্জ ডকরেল এবং মার্ক এডএয়ার। তবে জেরেমি জর্ডানের বলে মার্ক উইকেট হারালে ৪১ বলে ৬২ রানে থামে এই জুটির ইনিংস। দিশেহারা আয়ারল্যান্ডের জিততে চার বলে দলের তখনও প্রয়োজন ১৭ রান। তবে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত ৩০ রানে উইকেটে টিকে থাকলেও জর্জেআর জয় নিশ্চিত করতে পারেননি।

ইএ