ব্যাট বলের ছোট ফরম্যাটের বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন কারা আর নিজেদের ক্রিকেটীয় দুর্বলতায় কপাল পুড়েছে কাদের এসব কিছুর উত্তর খুঁজতে অধীর আগ্রহ দেশের ক্রিকেট ভক্তদের। অবশেষে বিসিবির নির্বাচকদের নানান হিসেব নিকেষের পর দল প্রকাশে কোনো সমর্থকের মুখে হাসি আবার প্রিয় খেলোয়াড়ের নাম খুঁজে না পেয়ে কোনো কোনো ভক্তের মুখে কালো মেঘের ছাপ।
সমর্থকদের একজন বলেন, 'দল মোটামুটি ভালোই হয়েছে। এখানে সাইফুদ্দিন থাকলে ভালোই হতো। সে হচ্ছে পেস অলরাউন্ডার। সে ব্যাটিংও ভালো করে।'
আরেকজন বলেন, 'আমাদের টাইমলাইনে এমন কোনো প্লেয়ার নেই। এখন যারা আছে ওদেরকে নিয়েই আগাতে হবে। ওদেরকে সময় দেয়া হচ্ছে দেখা যাক কি হয়।'
বিশ্বকাপের উইকেট অনুযায়ী ব্যালেন্সড দল হয়েছে বাংলাদেশের, এমনটাই মনে করেন সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। চোট থেকে ফিরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাইফুদ্দিনের পারফরম্যান্সে মন গলেনি নির্বাচকদের। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে দল থেকে বাদ দেয়া ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচক।
ফারুক আহমেদ বলেন, 'সাইফুদ্দিনের বাদ পড়ার যে লজিক শুনেছি সিলেকশন প্যানেল থেকে তাতে মনে হলো এইটা মেজর কোনো সমস্যা ছিল না।'
দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশের পেস ইউনিটে নেতৃত্ব দেয়া তাসকিন আহমেদের কাঁধে এবার সহ অধিনায়কের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, 'তাসকিনকে সহ-অধিনায়ক করা কতটুকু ভালো হয়েছে এতে আমি শিউর না তেমন। কারণ একটা প্লেয়ার ইনজুরিতে সে যদি কামব্যাকই না করে তাহলে আর কি। এক্ষেত্রে আমরা অন্য একজন ছেলেকে চান্স দিতে পারতাম।'
খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, 'শান্ত ক্যাপ্টেন আগে থেকে ঘোষণা দেয়া ছিল। তাসকিন সহ-অধিনায়ক সে ভালো ক্রিকেট খেলুক এটাই আশা করি।'
নির্বাচকদের পছন্দ সঠিক হলেই হবে না যাদের বিশ্বকাপে সুযোগ দেয়া হয়েছে তাদেরকেও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে নিজেদের কাজটা করতে হবে। তবেই ভালো কিছু আশা করতে পারবে দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা এমনটাই মত একসময় দেশের হয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ আলোচনায় থাকা দুই সাবেকের।