ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি- টোয়েন্টিতে বহুল চর্চিত বিষয় স্ট্রাইক রেট। যত কম বলে যত বেশি রান করা যায়, এই চিন্তাই গড়ে দেয় পার্থক্য। স্ট্রাইক রেট নিয়ে বরাবরই সংকটে থাকে বাংলাদেশ। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তর্ক সাপেক্ষে দলের সেরা ব্যাটার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর স্ট্রাইকরেটটা ঠিক টি-টোয়েন্টি সুলভ নয়।
এবারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ২০ দলের অধিনায়কদের মধ্যে ব্যাট হাতে সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেটের তালিকায় ১৯ নম্বরে আছেন শান্ত। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে স্ট্রাইক রেট ১১১.০৫।
উগান্ডার কারণেই এবার 'মান রক্ষা' হয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্তর। প্রশ্ন উঠতে পারে, উগান্ডার কারণে তাহলে কীভাবে 'মান রক্ষা' হয় বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। তার নিচে আছেন শুধু উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। তার স্ট্রাইক রেট ১০৭.৯৪। যদিও শান্ত পুরোদস্তুর ব্যাটার হলেও উগান্ডার অধিনায়ক মাসাবা মূলত একজন বোলার।
আফ্রিকান অঞ্চলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে জিম্বাবুয়েকেই সবাই ফেবারিট ভেবেছিলেন। কিন্তু বাছাইপর্বে ফেভারিট জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়াকে হারিয়েই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বেও জায়গা করে নেয়।
যদি উগান্ডার জায়গায় জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতো, তাহলে অধিনায়কদের মধ্যে স্ট্রাইক রেটে তলানিতে পড়ে থাকতেন শান্ত। কারণ জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সিকান্দার রাজার স্ট্রাইক রেট ১৩৩.৭৮, যা শান্তর চেয়ে অনেক বেশি।
মাসাবা অধিনায়ক হিসেবে আবার বেশ সফল। সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতায় পাকিস্তানের বাবর আজমের সঙ্গে তিনিই যৌথভাবে শীর্ষে। বাবর-মাসাবা দু'জনেরই নেতৃত্বে পাকিস্তান ও উগান্ডা এখন পর্যন্ত সমান ৪৪টি করে ম্যাচ জিতেছে।
বিশ্বকাপ অধিনায়কদের স্ট্রাইকরেটের তালিকার সেরা ১০ এ জায়গা হয়নি পাকিস্তানি সেনসেশন বাবর আজমের। তার অবস্থান ১১ নম্বরে।
এ তালিকায় সবার ওপরে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। তার স্ট্রাইক রেট ১৫০.৬৭।
এরপরে যথাক্রমে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ১৪৪.৮১, ইংল্যান্ডের জস বাটলার ১৪৪.৬১, ভারতের রোহিত শর্মা ১৩৯.৯৭, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ ১৩৫.৩৪, আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং ১৩৫.২০, কানাডার সাদ বিন জাফর ১৩৩.৯৯, যুক্তরাষ্ট্রের মোনাঙ্ক প্যাটেলের স্ট্রাইক রেট ১৩৩.২৯।
এছাড়াও স্কটল্যান্ডের রিচি বেরিংটন ১৩২.২০, শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৩০.৫২, পাকিস্তানের বাবর আজম ১২৯.৪১, নামিবিয়ার জেরার্ড এরাসমাস ১২৮.৯০, আফগানিস্তানের রশিদ খান ১২৮.৭৫। নেপালের রোহিত পৌড়েল ১২৪.৯০, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ১২৩.৬৪, ওমানের জিসান মাকসুদ ১২১.৯০, নেদারল্যান্ডসের স্কট এডওয়ার্ডস ১২১.৫৫ ও পাপুয়া নিউগিনির অধিনায়ক আসাদ ভালার স্ট্রাইক রেট ১১৮.৩৪।