গেল বৃহস্পতিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান বনাম প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচে ঘটেছিল বেশকিছু ঘটনা। বিশেষ করে মুশফিকুর রহিমের বিতর্কিত আউট নিয়ে দীর্ঘসময় বন্ধ ছিল ম্যাচও। তবে সবকিছু ছাপিয়ে যায় নারী আম্পায়ার ইস্যু।
ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাথিরা জাকির জেসিকে নিয়ে ম্যাচ শুরুর আগেই দুই ক্লাবের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়। ম্যাচশেষে এমনটিই জানান বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার মিঠু।
তিনি বলেন, 'লিগে এই প্রথম আমরা নারী আম্পায়ার দিলাম। সে অফিসিয়ালি আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলের আম্পায়ার। এখন যদি তারা (ক্লাব কর্তৃপক্ষ) বলে এটা গ্রহণ করার মতো না। তাহলে তো এখানে বিভেদ করা হচ্ছে। প্রথমে তারা অভিযোগ করেছিল যে খেলবে না, কিন্তু পরে আবার মেনে নিয়েছে।'
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় ওঠে। দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহকে রীতিমতো তুলোধুনা করতে থাকেন নেটিজেনরা। ছড়ানো হয় ধর্মবিদ্বেষও। আসলেই কি নারী আম্পায়ার নিয়ে আপত্তি ছিল ক্লাব কর্মকর্তা কিংবা ক্রিকেটারদের?
প্রাইম ব্যাংকের ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম টিটু বলেন, 'আমরা লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ করিনি।'
মোহামেডানের ম্যানেজার বলেন, 'আম্পায়ারকে নিয়ে আমরা অভিযোগ করি নাই। এটা জেসি আপাকে নিয়ে ইচ্ছা করে করানো হচ্ছে। নারী বিদ্বেষী ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের সাথে কিছু হয়নি।'
ডিপিএলের আয়োজক সিসিডিএমও বলছে, এ ধরণের কোন অভিযোগ কানে আসেনি তাদের। তবে সব পক্ষের সঙ্গে বসে ঘোলাটে পরিস্থিতির সুরাহা করার আশ্বাস দিয়েছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, 'এটা এখন বড় বিষয় হয়ে গেছে। তবে প্রাইম ব্যাংক বা মোহামেডান আমাদেরকে কিছু জানায়নি। আমরা আগে আম্পায়ারদের সাথে কথা বলবো, তারপর দলগুলোর সাথে কথা বলে একটা সমাধান করা হবে।'
সব পক্ষই বলছে এটি কেবলই ভুল বোঝাবুঝি। তবে এর জন্য কেন খেসারত দেবেন ক্রিকেটার কিংবা সংশ্লিষ্ট নারী আম্পায়ার? নিজ দেশের ক্রিকেটার কিংবা আম্পায়ারদের কবে সম্মান জানাতে শিখবেন দর্শকরা? এমন প্রশ্নও উঠছে।