অর্থে-বিত্তে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রিকেট জাতি ভারত, যাদের ধারেকাছেও নেই অন্য কোন দেশ। দেশটির ক্রিকেটাররাও আয় করেন মোটা অংকের অর্থ। এক আইপিএল খেলেই কোটি কোটি রুপির মালিক বনে যান অখ্যাত অনেকেই।
তবে মুদ্রার উল্টোপিঠে বিপরীত চিত্রও আছে। ১৫০ কোটি মানুষের দেশে হাজারও ক্রিকেটার আছেন, যারা এত আয় করেন না। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা আইপিএলে খেলার সুযোগ পান না তাদের গল্পও ভিন্ন। ফলে হীনমন্যতায় ভোগেন অনেকে। আবার টি-টোয়েন্টির জৌলুশে লঙ্গার ভার্সনে আগ্রহও হারাচ্ছেন অনেকে। সবকিছু বিবেচনায় এবার ঘরোয়া ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর কথা ভাবছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
শুরুটা হচ্ছে রনজি ট্রফির মাধ্যমে। পাঁচদিনের ম্যাচের এই আসরে কমপক্ষে ৪০টি ম্যাচ খেলেছেন এমন ক্রিকেটারদের দৈনিক ৬০ হাজার রুপি পারিশ্রমিক দেয় বোর্ড। ২১ থেকে ৪০ ম্যাচ খেলেছেন যারা তারা পান দৈনিক ৫০ হাজার রুপি আর ২০ ম্যাচ খেলা ক্রিকেটাররা পান ৪০ হাজার রুপি ভাতা। এছাড়াও রিজার্ভে থাকা ক্রিকেটাররাও তিন ক্যাটাগরিতে ৩০, ২৫ ও ২০ হাজার রুপি পেয়ে থাকেন।
এই পেমেন্ট অনুযায়ী কোন সিনিয়র ক্রিকেটার যদি ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছুতে পারেন তিনি ২৫ লাখ রুপি পর্যন্ত আয় করতে পারেন। অন্যদের জন্য সুযোগ থাকছে ১৭ লাখ থেকে ২২ লাখ রুপি পর্যন্ত আয় করার। এই অংকটাকে দ্বিগুণ করার কথা ভাবছে বোর্ড। কারণ গেল মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের একটা অংশ রনজি ট্রফিতে অংশ নেয়নি, যাতে আইপিএলের জন্য ইনজুরিমুক্ত থাকা যায়। রনজি ট্রফি খেলেও যাতে আইপিএলের মতো লোভনীয় অংক আয় করা যায় তারই চেষ্টা করছে বিসিসিআই।
এছাড়াও বিজয় হাজারে ও মুশতাক আলীর মতো সাদা বলের টুর্নামেন্টগুলোতেও পারিশ্রমিক বাড়াচ্ছে বিসিসিআই। সবমিলিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটাররা বছরে আয় করতে পারবেন অন্তত ৭৫ লাখ থেকে ১ কোটি রুপি পর্যন্ত।
এরইমধ্যে অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেলকে পারিশ্রমিক বাড়ানোর প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব দিয়েছে বোর্ড। আগামী মৌসুম থেকেই ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বেতনভাতা বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।