চলতি শতাব্দীর শুরুর দিকেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে কোন ক্রিকেটার অবসরে যাওয়ার পর তার খেলা দেখাটা ছিল অসম্ভব ব্যাপার। কোন ক্রিকেটার যখন নিজ দেশের জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছে অথচ কেউ হয়তো আছে যে সেই ক্রিকেটারের খেলা দেখতে পছন্দ করেন অথচ দেখতে পারতেন না।
কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট শুরুর পর থেকে পাল্টে গেছে সেই চিত্র। তবে আরও সহজ হয়েছে আইপিএল শুরুর পর থেকে। অনেকেই আছেন যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পরও আইপিএল মাতাচ্ছেন। নিজের ভক্তদের মন জুড়াচ্ছেন। অনেকেতো আবার শুধু আইপিএল খেলেই অর্থের চাহিদা মিটিয়ে সামর্থ্য থাকা স্বত্বেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন না।
২০০৮ এ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ যখন শুরু হয় তখন এ তালিকাটা ছিল অনেক লম্বা। শেন ওয়ার্ন, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, শন পলক, অনিল কুম্বলের মতো ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও ঠিকই আইপিএলে নিজেদের রাঙিয়ে রেখেছিলেন। এর মধ্যে শেন ওয়ার্ন, অনিল কুম্বলেতো কখনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেননি।
তবে এখন সেই সংখ্যাটা কমে এসেছে। বিশেষ করে ২০২৪ আইপিএলে এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা। ভারতের জীবন্ত কিংবদন্তী টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দুই ফরমমেটেই শিরোপ জেতা ক্রিকেটার এম এস ধোনীর সাথে আছেন উইন্ডিজ ক্রিকেটার সুনীল নারাইন।
এর মধ্যে কিছুটা হলেও ব্যতিক্রম চেন্নাইকে ৫ বার শিরোপা জেতানো ধোনী। যদিও এবার দলের হয়ে অধিনায়কত্ব করছেন না। তবে তার ভূমিকায় যে শেষ কথা সেটা সবারই জানা। শুধু যে অধিনায়কত্ব দিয়েই ধোনী নিজেকে টিকিয়ে রেখেছেন তা কিন্তু নয়। ৪২ বছর বয়সী এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান এখনো গড়ে যাচ্ছেন নতুন রেকর্ড।
রবিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ তম উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন এমএস। তার ধারে কাছে আছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেট কিপার কামরান আকমল। এই বয়সেও ধোনী যে ভাবে একের পর একে নিজেকে মেলে ধরছেন তাই স্বাভাবিক ভাবেই অনুমেয় বার বার নিজেকেই ছাপিয়ে যাবেন তিনি।