ক্রিকেট বিশ্বে কোহলি-বাবরদের পাশাপাশি নারীদের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাও বহুগুণে বেড়েছে। তাই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি দুই দশক হলো নারীদের ক্রিকেট ইভেন্ট নিয়মিত আয়োজন করছে। এর মধ্যে অন্যতম ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
নারী ক্রিকেটের আকষর্ণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৭ সাল থেকে নারীদের প্রাইজমানি বাড়িয়ে দেয় আইসিসি। তবে, ২০২৩ সালে ঐতিহাসিক এক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এক বছর আগে আইসিসি ঘোষণা দেয় ২০২৪ সাল থেকে নারী ও পুরুষদের ইভেন্টে সমান প্রাইজমানি দেওয়া হবে।
আইসিসি যখন নারী ও পুরুষদের সমান অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করছে। তখন উল্টো পথে এসিসি। ২০২৪ সালে নারীদের এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা করেছে এসিসি। গ্রুব বি'তে ২০১৮ সালে ট্রফি জেতা বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া। তবে, এসিসি এখনও ঘোষণা করেনি কতো হতে যাচ্ছে মেয়েদের জুলাইয়ে হতে যাওয়া এশিয়া কাপের প্রাইজমানি।
কিন্তু প্রাইজমানিতে নারী-পুরুষদের বিশাল পার্থক্য থাকবে তা আঁচ করা যায়। এই যেমন সবশেষ সাকিব-কোহলিদের এশিয়া কাপের প্রাইজমানি ছিল ২ লাখ ডলার, রানার্সআপ ১ লাখ ডলার। এছাড়া সেমিফাইনালিস্ট, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান থাকা দলগুলোর জন্য লাখ লাখ টাকা পুরস্কার দিয়েছে এসিসি।
অন্যদিকে নারীদের সবশেষ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন দলও ছেলেদের মতো কোটি টাকা নয় মোটে ২০ লাখ টাকার মতো পাইজমানি পেয়েছে। যা নারী ও পুরুষদের এশিয়া কাপের প্রাইজমানির পার্থক্য ১০ গুণ। রানার্সআপ দলের জন্য অর্থ পুরস্কার থাকলেও, স্থান নির্ধারণী দলগুলোর জন্য অর্থ পুরস্কার নেই।
এবারের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোলে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল সেমিফাইনালে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে। আর ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারলে অন্তত ১০ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কারের হাতছানি থাকবে জ্যোতি-ফারজানাদের সামনে।