বিপিএলের দশম আসর অন্তিম মুহূর্তে রয়েছে। একইদিন এলিমিনেটর আর প্লে অফের খেলা থাকায় ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ অনেক। আর ছুটির দিন থাকায় টিকিটের চাহিদাও ছিলো বেশি। তাই দূরদূরান্ত থেকে হোম অব ক্রিকেটে খেলা উপভোগ করতে ভিড় করেন দর্শকরা। কিন্তু টিকিট কেনা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে সমর্থকদের। টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়েছেন তারা। কালোবাজারিদের নিয়ে তাদের বিস্তর অভিযোগ।
একজন দর্শক বলেন, 'টিকিট কালোবাজারি হচ্ছ। বিল্ডিংয়ের আশেপাশে, গলিতে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। ২০০, ৩০০ টাকার টিকিট ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা চায়। আমরা টিকিট কিনতে গেলে টিকিট পাচ্ছি না।'
খেলা দেখতে এসে টিকিট কিনতে না পারায় কিছু দর্শক স্টেডিয়ামের বাইরে অলস সময় পার করেছেন। সাধ্য না থাকায় কেউ আবার খেলা উপভোগ করেছেন মোবাইলের মাধ্যমেই।
বাহিরে বসে থাকা একজন দর্শক বলেন, 'আমি কক্সবাজার থেকে এসে টিকিট না পেয়ে মোবাইলে খেলা দেখছি। কালোবাজারিতে এতো বেশি দাম চাচ্ছে যে মাঠে বসে খেলা দেখতে পারলাম না।'
প্রিয় দলের খেলা দেখতে রাজধানীর বাইরে থেকে এসেছেন অনেকেই। নির্ধারিত মূল্যে টিকিট না পাওয়ায় একরকম বাধ্য হয়েই চড়া দামে টিকিট কিনেছেন খেলা পাগল মানুষ।
টিকিট কালোবাজারি নিয়ে দর্শকদের অভিযোগটা পুরনো। কারণ যেকোনো টুর্নামেন্টেই কালোবাজারিদের কাছে অসহায় হতে হয় মাঠে খেলা দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমীদের। এই সমস্যার সমাধান কবে হবে? সেটাই বড় প্রশ্ন।
এদিকে বিপিএলে কোয়ালিফায়ার টু'র টিকিট মূল্য কমিয়েছে বিসিবি। সর্বোচ্চ মূল্য ১ হাজার ৫০০ ও সর্বনিম্ন মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা।
এর আগে এক টিকিটে দু'টি ম্যাচ দেখা যেতো। তাই টিকিটের সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ২ হাজার ৫০০ আর সর্বনিম্ন ছিল ২০০ টাকা। কিন্তু বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই বিসিবি টিকিটের মূল্য কমিয়েছে।
গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের মূল্য ১ হাজার ৫০০, ভিআইপি ৮০০, ক্লাব হাউজ ৪০০, নর্থ ও সাউথ গ্যালারি ২০০ এবং ইস্টার্ন গ্যালারির টিকিট মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা করে।