দেশের ক্রিকেট এখন অনন্য এক উচ্চতায়। ব্র্যান্ড ভেল্যু, বাণিজ্য, জনপ্রিয়তা সবকিছু মিলিয়ে ক্রিকেটার থেকে শুরু করে এর সাথে জড়িত প্রতিটি মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস এই ক্রিকেট।
তবে আজ থেকে ৫০ বছর আগে কেমন ছিলো এ দেশের ক্রিকেট। কতজন ভেবেছিলো ক্রিকেট একদিন এমন একটা জায়গায় আসবে। হ্যাঁ কেউ বা ভেবেছিলো, তাদের দূরদর্শী চিন্তাধারায় ক্রিকেটকে ভালোবাসতেন কেউ একজন। তাদেরই একজন অধ্যাপক ড. আবদুল মমিন চৌধুরী। অধ্যাপক, গবেষক, লেখক নানা গুণের অধিকারী এই মানুষটি আশি-নব্বয়ের দশকে দেশের ক্রিকেটের অন্যতম এক পথিকৃৎ ছিলেন।
সে সময়ের অবহেলিত ক্রিকেটকে বুকে লালন করতেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবহেলিত ক্রিকেটকে দিয়েছেন প্রাণের সঞ্চার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. আবদুল মমিন ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত ছিলেন ঢাবি’র ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান।
অধ্যাপক ড. আবদুল মমিন চৌধুরীর ক্রিকেট নিয়ে মেধা, আন্তরিকতায় বনে গিয়েছিলেন তৎকালীন জাতীয় দলের ম্যানেজার। সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশকে নিয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তান সফরে। তার শৃঙ্খলা ও আন্তরিকতা বেশি উপভোগও করতেন সে সময়ের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
বর্তমান ক্রিকেটে টাকার ঝনঝনানি। কিন্তু সত্তর-আশির দশকে যখন এ দেশের ক্রিকেট ছিলো বিলাসিতা, সে সময় ক্রিকেটারদের আর্থিক থেকে শুরু করে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন তিনি।
শুধু ক্রিকেটারদের সাথেই না ড. আবদুল মমিন চৌধুরীর সম্পৃক্ততা দর্শকদের সাথেও ছিলো। ষাটের দশকে রেডিওতে ইংরেজী ধারাভাষ্য দিতেন তিনি।
শিক্ষাবিদ, গবেষক ও ক্রিকেটানুরাগী অধ্যাপক ড. আবদুল মমিন চৌধুরী এখন পরপারের যাত্রী। দেশের ক্রিকেটের এই স্বর্ণযুগে কতজনই বা মনে রেখেছেন এক সময়ের বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজারকে। এমনকি খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও মৃত্যুর একদিন পর শোকবার্তা দেয়!