বিপিএলে ভালো পারফর্ম করে অনেকেই সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলে। এরমধ্যে তাসকিন আহমেদ, মুনিম শাহরিয়ার , শামসুর রহমানরা অন্যতম। তবে তাসকিন ছাড়া কেউই জাতীয় দলে স্থায়ী হতে পারেননি।
একইভাবে চলতি আসরে অনেকের নজর কেড়েছেন কুমিল্লার রহস্যময় স্পিনার আলিস ইসলাম। দেশের অন্যতম সফল ফ্রাঞ্চাইজি দলটির হয়ে মাত্র দুই ম্যাচ খেলেছেন। এরমধ্যে প্রথম ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে সিলেট পর্বে সিলেটের বিপক্ষে ম্যাচে চলে আসেন সবার আলোচনায়। মাত্র ১৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে একাই স্ট্রাইকার্সদের গুঁড়িয়ে দেন তিনি।
শুধু উইকেটে নয় তার বোলিংয়ে পুরোপুরি বোকা বনে গেছেন শান্ত, ইয়াসির রাব্বিরা। অফস্পিনার হয়েও সুইং করাতে পারেন আলিস। যেটা সচারচর পেসাররা বল হাতে করে থাকেন। যে কারণে ব্যাটারদের বেশ ভালোই অসুবিধায় ফেলতে পারেন কুমিল্লার এই বোলার।
বল হাতে স্পিন সুইংয়ের পাশাপাশি সিমও করাতে পারেন তিনি। এই ধরণের বোলিং করে এরআগে নাম কামিয়েছেন অজন্তা মেন্ডিস, সাইদ আজমল, সুনীল নারিনদের মতো তারকারা। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই ধরণের বোলার কতটা কার্যকর তা এসব বোলারদের অর্জন দেখলেই বোঝা যায়।
আলিস ইসলাম বিপিএলে এবারই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। সেসময় নেট বোলার থেকে ঢাকার একাদশে খেলার সুযোগ পান তিনি। অভিষেক ম্যাচ হ্যাট্রিকসহ নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। সেসময় তার বোলিং নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। তবে অ্যাকশন নিয়ে পরীক্ষার আগেই ইনজুরিতে পড়ের তিনি। এরপর দীর্ঘসময় ছিলেন মাঠের বাইরে। এই সময়ের মধ্যে আলিস খুব বেশি ঘরোয়া আসরেও খেলতে পারেননি।
তবে চলতি মৌসুমে কুমিল্লার হয়ে যেভাবে শুরু করেছেন, আসর শেষে কোথায় গিয়ে থামে সেটাও দেখার বিষয়। এ বছর অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার মতো বোলার জাতীয় দলে সুযোগ পেলে দেশের ক্রিকেটে শক্তির মাত্রা আরও বাড়বে বলে বিশ্বাস ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।