প্রায় এক যুগ ধরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হাসান পাপন। দেশের খেলাধুলার মধ্যে ক্রিকেট জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকায় ক্রীড়াঙ্গনে বেশ আলোচিত মুখ বিসিবির এই শীর্ষ কর্তা। তার মেয়াদকালেই মাঠের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ।
ক্রীড়া সংগঠক পরিচয় ছাড়াও বেশ কয়েকটি পরিচয় আছে তার। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য তিনি। বিসিবি সভাপতি হওয়ার আগ থেকেই এই দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয়ী হয়েছেন তিনি। টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী হয়ে বিসিবি সভাপতির পদে তিনি থাকছেন কিনা, এরইমধ্যে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে তার মেয়াদ শেষ হবে। তবে সে পর্যন্ত ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ পদে তাকে নাও দেখা যেতে পারে।
তবে বিসিবির পাশাপাশি আইসিসি ও এসিসির বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকায় হুট করে পদ ছেড়ে দেয়ার সুযোগ নেই তার সামনে। সে হিসেবে এ বছরও বিসিবি সভাপতি হিসেবে দেখা যেতে পারে তাকে।
নাজমুল হাসান পাপনের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা নিয়েও এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনা-কল্পনা। উঠে আসছে মাশরাফী-সাকিবসহ অনেকের নাম। তবে বিসিবির সভাপতি নির্বাচন করতে গেলে মানতে হবে আইসিসির নিয়মনীতি।
পাপন বলেন, 'মন্ত্রী হওয়ার সঙ্গে বিসিবির কোন সম্পর্ক নেই। তবে আমি আগেই বলেছি এ মেয়াদের পর আর সভাপতি থাকতে চাই না। আইসিসির কয়েকটি কমিটিতে থাকায় আমি ইচ্ছা করলেই যেকোন কিছু করতে পারব না।'