বিরাট কোহলি। যাকে এখন 'কিং' কোহলি বলা যায় অনায়েশেই। স্বদেশি শচীনকে টপকে একদিনের ক্রিকেটে এখন সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক বিরাট।
২০০৮ সালে অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানো কোহলি অভিষেকের পর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটের টপ ক্লাস ব্যাটার।
দীর্ঘদিন এমন ফর্ম ধরে রাখাও নিশ্চয়ই কম কথা নয়। নিজের ফিটনেস ঠিক রাখতে প্রতিদিন অনেক সেক্রিফাইসের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাকে। অ্যাথলেটদের প্রধান চ্যালেঞ্জটাই হলো নিজের খাদ্যাভাসকে নিয়ন্ত্রণ করা। কোহলি যে এখানেও পাকা খেলোয়াড় সেটা তার ডায়েট চার্ট দেখলেই বোঝা যায়।
নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাসই কোহিলিকে সবার চেয়ে আলাদা করেছে। নিজের দেয়া এক সাক্ষাতকারে বিরাট জানান, তিনি সকালের নাস্তা করেন সেদ্ধ ডিম আর ব্রেড অমলেট দিয়ে সঙ্গে থাকে পালংশাক, গোলমরিচ আর পনির সালাদ।
দুপুরের খাবারের মেন্যুতে থাকে বাদাম, লাল আটার রুটি আর মিষ্টি। সঙ্গে প্রোটিন শেক। কোহলির খাবারের তালিকা সাজানো থাকে শরীরের প্রয়োজনীয় সব খাদ্য উপাদান মেনেই।
কোহলির রাতের খাবারটা একেবারেই সাদাসিদে রুটি, ডাল আর সবুজ পাতাবহুল সবজি। আর অনুশীলনের পরে বিরাট প্রোটিন শেক, সয়াদুধ ও বাটার পনির খেয়ে থাকেন।
বিরাট কোহলির সবচেয়ে আকর্ষনীয় ব্যাপার তার পানি। এখানেই সে সবার চেয়ে আলাদা। আর শরীর হাইড্রেটেড রাখতে বিরাট পান করেন ব্ল্যাক ওয়াটার। এটা খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। যা দীর্ঘ সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। আর এই পানির জন্য লিটারপ্রতি তিন থেকে চার হাজার রুপি খরচ করেন বিরাট।