ঝালকাঠির দু'টি স্টেডিয়ামের মধ্যে পুরাতনটির অবস্থান থানা রোডে। তিন একর জমির ওপর গড়ে ওঠা স্টেডিয়ামটির দু'টি গ্যালারিই পরিত্যক্ত। অনুপযোগী খেলার মাঠও। তারপরও সেখানে অনুশীলন করে শিশু-কিশোররা। এই মাঠেই আয়োজন হয় বিভিন্ন মেলাসহ রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ। ফলে খেলোয়াড় তৈরিতে মাঠটি সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না।
অন্যদিকে শহরতলীর বিকনা এলাকায় সাড়ে নয় একর জায়গায় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের নামে নির্মিত হয়েছে নতুন স্টেডিয়ামটি। তবে মূল শহর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে হওয়ায় খেলার সময় স্টেডিয়ামে দর্শক খুঁজে পাওয়া যায় না। এছাড়া বছরের অধিকাংশ সময়ই এই স্টেডিয়ামে গরু চড়ান এলাকাবাসী। বর্তমানে ঘাসে ছেয়ে গেছে মাঠটি। এ স্টেডিয়ামটিও এখন খেলাধুলার প্রায় অনুপযোগী।
খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকদের অভিযোগ, শহরের দু'টি স্টেডিয়ামই জরাজীর্ণ, খেলাধুলার অনুপযোগী। নিষ্ক্রিয় জেলা ক্রীড়া সংস্থাও।
স্থানীয় একজন ক্রিকেট খেলোয়াড় বলেন, 'রাজনৈতিক প্রোগ্রাম হয়েছে, মেলা হয়েছে, সেজন্য আমাদের মাঠের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই মাঠে ক্রিকেট ফ্যাসিলিটিজ শূন্য। আমাদের এখানে ক্রিকেট বোর্ড থেকে একটা উইকেট করে দিয়েছে। কিন্তু সেটিও আমরা মেইনটেন্যান্স করতে পারি না।'
গত কয়েক বছরে স্টেডিয়াম দু'টির সংস্কারের জন্য বারবার দাবি জানিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকরা। তাদের দাবি, স্টেডিয়াম দু'টি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন।
ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন খান ধলু বলেন, 'খুব দ্রুত যদি ক্রীড়া সংস্থা গঠন করা হয় তাহলে ঝালকাঠির ছেলেমেয়েদের মাধ্যমে খেলাধুলার সঞ্চার সৃষ্টি হবে।'
এদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, স্থানীয় পর্যায়ের বন্ধ থাকা খেলাগুলো ইতোমধ্যেই চালু করা হয়েছে। মাঠ দু'টি দ্রুত সংস্কার করে সব ধরনের খেলাধুলার উপযোগী করা হবে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, 'জেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান যে কমিটি, সেটি তৈরি করার জন্য প্রস্তাবনা আমরা ঢাকায় পাঠিয়েছি। সেটি অনুমোদন পেলে আমরা কমিটির কার্যক্রম আরম্ভ করতে পারবো। পাশাপাশি ক্রীড়া সংস্থার মাঠকে সংস্কার করে খেলার উপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।'
শিগগিরই স্টেডিয়াম দু'টি ক্রীড়াপ্রেমী কিশোর-তরুণদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা ঝালকাঠিবাসীর।