এখন মাঠে

হঠাৎ কাজী সালাউদ্দিনের বাসায় ক্রীড়ামন্ত্রী!

সম্পর্কের টানাপড়েন কাটিয়ে কাজী সালাউদ্দিনের বাসভবনে ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। বাফুফে সভাপতিকে দেখতে গিয়ে তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তিনি বলেন, দু'একটি নেতিবাচক কথায় দীর্ঘদিনের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়ে না।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বারিধারার বাসভবনে নতুন ক্রীড়া মন্ত্রী যান। অনেকে অবাক হলেও এটাই সত্যি অসুস্থ বাফুফে সভাপতিকে দেখতে ব্যস্ততার মাঝেও হাজির হয়েছেন সশরীরে।

নিজেদের কথার রেষারেষিতে দেশের দুই পাড়ার দুই অভিভাবক বরাবরই খবরের শিরোনাম হতো। বিসিবি'র সভাপতি ক্রীড়াক্ষেত্রের দায়িত্ব নেয়ায় দেশের ফুটবল কতটা নজরে আসবে? ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তাতেও ছিল আশঙ্কা। তবে বাফুফে বসের সঙ্গে হঠাৎই এমন সাক্ষাৎকার অনেকটাই ইতিবাচক সম্পর্কের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

পাপন বলেন, 'এতো বছরের সম্পর্ক একদিনের কথায় তো আর নষ্ট হয় না। ছোট থেকে মাঠে যেতাম তার খেলা দেখতে। তার মতো কিংবদন্তী ফুটবলার তো বাংলাদেশে আর নেই। অনেক সময়, কথায় উনিও কষ্ট পেতে পারে আমিও পেতে পারি, সেটা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সম্পর্ক তো শেষ হবে না।'

মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার ১৩ দিনের মাথায় ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পাপন। তবে আলাদাভাবেই ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অতিথি হিসেবে যায় বাফুফের কর্মকর্তারা। অসুস্থজনিত কারনে সেসময় মন্ত্রীর দাওয়াতে সাড়া দিতে পারেননি বাফুফে সভাপতি। মন্ত্রীর সাক্ষাত পাওয়া মাত্রই তাকে ফুটবলের অন্যতম মাঠ সমস্যার কথা জানিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।

পাপন বলেন, 'বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এতো সময় ধরে বন্ধ হয়ে আছে, খেলার কোনো জায়গা নেই। এটাতো বড় সমস্যা, তা অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। তা যেন আর দেরি না হয় তার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো।'

নিজেদের মধ্যে তিক্ততার অবসান ঘটিয়ে নতুনভাবে পথচলায় দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার বড় চ্যালেঞ্জ কাজী সালাউদ্দিন এবং নাজমুল হাসান পাপনের সামনে। সেখানে ভালোভাবে উতরাতে পারলেই আবারও আগের মতো প্রাণ ফিরে পাবে একসময়ের জনপ্রিয় খেলা ফুটবল।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর