দেশে এখন
ধর্ম
0

কোটা খালি রেখেই শেষ হল হজ নিবন্ধন

তিন দফায় মেয়াদ বাড়িয়েও এবার খুব বেশি সাড়া মেলেনি হজযাত্রার নিবন্ধনে। সবমিলিয়ে সংখ্যা মাত্র ৭৯ হাজার ৮৬২ জন। নির্ধারিত কোটার চেয়ে যা প্রায় ৪৭ হাজার কম।

২০২৩ সালে হজের প্যাকেজে খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সমালোচনা হয়েছে অনেক। যাত্রীদেরও আগ্রহ ছিল আগের বছরগুলোর চেয়ে কম। নয় দফায় নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েও পূরণ করা যায়নি কোটা।

২০২৪ সালে সরকারিতে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা ও বেসরকারিতে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা কমিয়ে ঘোষণা করা হয় হজের প্যাকেজ। গেলো ১৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়ে শুরু হয় নিবন্ধন। এক লাখ ২৭ হাজার কোটা পূরণের লক্ষ্যমাত্রা শুরুতেই হোঁচট খায়। প্রথম মেয়াদের ২৫ দিনে নিবন্ধন করেন মাত্র ৪ হাজার ৬০০ জন।

বাধ্য হয়েই আবারও ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয় নিবন্ধনের সময়। এ দফাতেও সাড়া না পেয়ে আরও একবার বাড়ে নিবন্ধনের মেয়াদ। দু'দফায় সময় বাড়িয়েও বাকি যখন কোটার প্রায় অর্ধেক তখন শেষ করা হয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া।

এরপর এজেন্সিদের অনুরোধে সৌদি আবর থেকে বিশেষ বিবেচনায় ৮ দিনের জন্য তৃতীয়বারের মতো নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তাতেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। সাড়া মেলেনি গতবারের মতো। ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৮০ হাজার হজ যাত্রী।

ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, 'আমাদের দেশে মুসলমানের সংখ্যা ৯২ শতাংশ। আমরা কোটা পাই ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এ দেশের হাজীদের অভ্যাস শেষদিকে হজ করতে যাওয়া। এই অভ্যাসটা পরিবর্তন করা সম্ভব কি-না সেই বিশেষ বিবেচনায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।'

বারবার সময় পেছানোয় সৌদি আরবকে এখনও জানানো যায়নি হজযাত্রীর সংখ্যা। এ নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্ম সচিব আরও বলেন, 'সৌদি আরবকে তো আমরা সংখ্যাই জানাতে পারছি না। এতে আমাদের পরিকল্পনার সমস্যা হয়ে যাচ্ছে।'

হজের পরিস্থিতি যখন এমন ঠিক উল্টো চিত্র ওমরাহর। করোনা পরবর্তী সময়ে ওমরাহর যাত্রী বেড়েছে তিনগুণ। ২০২২ সাল থেকে গড়ে ওমরাহ করতে যাচ্ছেন ৫ লাখ মুসল্লি। হাব সভাপতি এম. শাহাদাত তসলিম বলছেন, 'কম খরচে ওমরাহর সুযোগে হজের প্রতি আগ্রহ কমাচ্ছে। ১ লাখ ৩০ বা ৪০ হাজার টাকাতেই ওমরাহ করা যায়। এজন্য আমাদের হজযাত্রীদের মধ্যে ধারণা হয়েছে যে আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করা বা নবীর রওজা মুবারক করতে পারলেই হয়ে গেলো। তাহলে হয়তো ফরজ হজও পালিত হয়ে যাবে এখানে।'

টানা দু'বার হজের কোটা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার পরও পরের বছর বরাদ্দ কমার শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন তিনি। বলেন, 'যে বছর আমাদের হজযাত্রী বেশি থাকে সে বছর আমরা সৌদি আরবের থেকে বেশি কোটা পাই না। আবার কোনো বছর কম হতেই পারে, এটা কোনো বিষয় না।'

আগামী ৯ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এবার হজে যাওয়ায় সুযোগ আছে ১ লাখ ২৭ হাজার মুসল্লির।

এসএস

আরও পড়ুন: