মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা যে, নির্বাচন কমিশন একেবারে নিরপেক্ষভাবে, সুষ্ঠুভাবে, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। এখানে সব রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থী সবাই সচেতনভাবে এ নির্বাচনকে একটি উৎসবমুখর নির্বাচনে পরিণত করবে। কারণ, আমরা সবাই জানি যে, বিগত ১৫ বছর এ দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। সুতরাং আজ আবার একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা আজকে একটা নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক একটা পার্লামেন্ট গঠন করতে সক্ষম হবো।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, প্রায় ৯ মাস রাষ্ট্রের যে বিষয়গুলোতে সংস্কার প্রয়োজন ছিল, সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। অনেকগুলো বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, কতগুলো বিষয়ে একমত হতে পারিনি, সেগুলো গণভোটের মাধ্যমে আসবে। একইসঙ্গে আমরা মনে করি যে, আজকে এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।’
আরও পড়ুন:
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও জোটের সঙ্গে বোঝাপড়ায় কোনো সমস্যা আছে কি না এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কোনো সমস্যা নেই, রাজনৈতিক দলের মধ্যে এগুলো থাকেই। আমরা চূড়ান্তভাবে তো প্রার্থী তালিকা দেইনি, আপনারা সবাই জানেন। সেই তালিকা এখন চূড়ান্ত হবে, হয়েই গেছে প্রায়। যারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎভাবে আন্দোলন করেছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।’
দীর্ঘ সময় পর একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন হতে চলেছে। সেক্ষেত্রে এ দিনটি মির্জা ফখরুলের জন্য বিশেষ কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে, এটা অত্যন্ত আনন্দের দিন। আমি একটি কথা কিন্তু আপনাদের বরাবরই বলেছি যে, নির্বাচনের ব্যাপারে আমার কোনো আশঙ্কা নেই, এরকম কোনো চিন্তায় ভুগছি না যে, নির্বাচন হবে কি না। নির্বাচন হতেই হবে এবং সেটার ঘোষণা হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ নির্বাচন হবে।’
এসময় তফসিল ঘোষণার পরও যারা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তাদেরকে ‘শঙ্কাবাদী’ হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।





