ডা. জাহিদ বলেন, ‘ওনার চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা ইংল্যান্ড, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, চীন এবং আমেরিকার বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে যৌথ আলাপ-আলোচনা করছি। এর ভিত্তিতে ওনার চিকিৎসা এখানে অব্যাহত আছে এবং থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসক, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে চিকিৎসা কার্যক্রম যাতে কোনো অবস্থাতেই ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।’
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ওনার (খালেদা জিয়া) পাশে ওনার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিনী সৈয়দা শামিলা রহমান (কোকোর সহধর্মিনী), ওনার ছোট ভাইসহ অন্যান্য সব আত্মীয়স্বজন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সিনিয়র স্থায়ী কমিটির সব নেতাকর্মীসহ দেশের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সবার সার্বিক সহযোগিতায় ওনার চিকিৎসা এখানে চলছে।’
এর আগে গত ২৭ তারিখে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে খালেদা জিয়াকে নিবিড় তত্ত্বাবধানে (সিসিইউ) নেয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
এর আগে সন্ধ্যায় গুলশানে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিদেশে নিয়ে যাওয়ার মত নয়।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা সঙ্কটাপন্ন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা তার চিকিৎসা চলছে। আমেরিকার জন হপকিন্স এবং লন্ডন ক্লিনিকের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করছেন। গতকাল রাতে বেশ সময় নিয়ে তারা বোর্ড সভা করেছেন। নিজেদের মেডিকেল বোর্ডে তারা কালকে মতামত দিয়েছেন চিকিৎসাটা কী ধরনের হবে এ বিষয়ে।’
বিদেশে নেয়া প্রসঙ্গে এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তাকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে তারা বলছেন যে, হয়তো নেয়া প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু তার এখন যে শারীরিক যে অবস্থা সে অবস্থায় তাকে বিদেশ নেয়ার মত কোনো শারীরিক অবস্থা নেই। শারীরিক অবস্থা স্ট্যাবল হলে তখন চিন্তা করে দেখা হবে তাকে নেয়া সম্ভব হবে কী না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তবে বিদেশে নেয়ার জন্য যেসব বিষয় প্রয়োজন যেমন ভিসা, যেসব দেশে যাবে সেসব দেশের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে এবং সেগুলো মোটামুটি কাজ এগিয়ে আছে। অর্থাৎ যদি প্রয়োজন হয়, যদি দেখা যায় শি ইজ রেডি টু ফ্লাই, তখন তাকে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হবে।’





