আহমেদ আযম খান বলেন, ‘আমরা লড়াই করেছি, রক্ত দিয়েছি, রাজপথে থেকেছি। অন্য কোনো দলে আত্মগোপন করে গুপ্ত দল করিনি। ৫ আগস্টে অভ্যুত্থানের পর আমার নেতা, আমাদের বাংলাদেশের নেতা তারেক রহমান যখন ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশকে আমরা গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যেতে চাই। আমরা গত ১৪ মাস দেখেছি বাংলাদেশটা যাতে গণতন্ত্রের পথে যেতে না পারে সেজন্য দেশি শত্রুরা, বিদেশি শত্রুরা, গণতন্ত্রের শত্রুরা, বাংলাদেশের শত্রুরা চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। যাতে বাংলাদেশ গণতন্ত্রে ফিরতে না পারে।’
তিনি বলেন, ‘৭ নভেম্বর আমরা নতুন বাংলাদেশকে দেখতে পেয়েছি। আমাদের নেতা কালজয়ী জিয়াউর রহমানকে দেখতে পেয়েছি রাষ্ট্রপতি হিসেবে। যার দেশের চেতনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের চেতনা, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের চেতনা, ৭ নভেম্বরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৭ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি। বিএনপির হাজার হাজার নেতা গুম হয়েছে, হাজার হাজার নেতা কর্মীকে ফ্যাসিবাদের পুলিশ নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এমন ৭ নভেম্বরের চেতনা ছিলো, এমন ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিলো, এত গুম, হত্যা, রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। কিন্তু বিএনপির একটা নেতা কর্মী রাজপথ ছাড়েনি। বিএনপির কোনো নেতা কর্মী ছদ্মবেশে নিজেকে অজ্ঞাত করেছে এমন কোন প্রমাণ নেই।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গনে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন জিয়াউর রহমান। সিপাহী জনতা বিপ্লবেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। একনায়ক তান্ত্রিক বাংলাদেশ থেকে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে দাঁড় করিয়েছিলেন। যিনি নিজেকে বিশ্বের বুকে দাঁড় করিয়ে দেশকে সম্মানিত করেছিলেন। সেই নেতার আবির্ভাব ঘটেছিলো তিন তিন বার।’
বিএনপির এ নোত বলেন, ‘১৯৭১ সালে দিক নির্দেশনা দেয়ার মতো আমরা কাউকে খুঁজে পাইনি। একজন মেজর হয়েও নিজের জীবন, পরিবারের জীবন বিপন্ন করে গর্জে উঠেছিলেন। আমি মেজর জিয়া বলছি, আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমরা তাকে দ্বিতীয়বার দেখতে পাই রণাঙ্গনের মুক্তিযুদ্ধে। যে ফোর্স গঠন করেছিলেন, বুক চিতিয়ে লড়াই করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সেই নেতা আবার দেখতে পাই যখন বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলো, সেখান থেকে নেতার আনুগত্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমগ্র সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, সশস্ত্রবাহিনী, আনসার ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যৌথভাবে আন্দোলন করে, বিপ্লব করে যে নেতাকে মহানায়কে রূপান্তরিত করেছিলো এ ৭ নভেম্বর।’
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানুসহ আরও অনেকে। এসময় বিএনপির অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যান থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহিদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে গিয়ে শেষ হয়।





