আজ (রোববার, ১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণ নগর ইউনিয়নের পমানন্দপুর বাজার এলাকায় গণসংযোগের জন্য যান এ কে আজাদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে এ কে আজাদ পরমানন্দপুর বাজারে যান। প্রথমে তিনি বাজার সংলগ্ন জামে মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি বাজার এলাকায় এসে গণসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এ সময় সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে একটি মিছিল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বলে জানা যায়। মিছিলকারীরা এ কে আজাদকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এসময় মিছিলকারীদের নায়াবা ইউসুফের পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ওই সময় এ কে আজাদের সমর্থকরা তাকে ঘিরে রাখেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে যুবদলের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৫টার দিকে পরমানন্দপুর মাঠে অবস্থান নেওয়া এ কে আজাদের গাড়ি বহর পুলিশ প্রহরায় একে একে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তবে শেষের দুটি গাড়ি যুবদলের নেতাকর্মীরা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ফরিদপুর সদর উপজেলার ইউনিয়নে যুবদলের কোনো কমিটি নেই। পরমানন্দপুরে আমার কোনো লোক এ ঘটনা ঘটায়নি।’
আরও পড়ুন:
ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেন, ‘রাজনীতিতে এ সহিংসতার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। গত নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকও এ জাতীয় আচরণ করেননি। নায়াব ইউসুফের কাছ থেকে এ জাতীয় আচরণ এলাকাবাসী প্রত্যাশা করেনি। এসব ঘটনা রাজনৈতিক সংকটকে ঘনীভূত করবে’।
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক নায়ব ইউসুফ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আমি এসবের মধ্যে নাই। আমি আমার নেতাকর্মীদের দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছি, এ জাতীয় কোনো কাজ না করতে। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি ও পুলিশ সুপারকেও বলেছি এ ব্যাপারে নজর রাখতে’।
তিনি আরও বলেন, ‘এ কে আজাদ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন তার কোনো ভিত্তি নেই। তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব কথা বলছেন যাতে আমার ক্ষতি হয়।’
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ‘পরমানন্দপুরে আজ ছিলে হাটের দিন। সেখানে এ কে আজাদ গণসংযোগ করতে গিয়েছিলেন। অপরদিকে যুবদলের লোকজনও গণসংযোগ করছিলেন। এক সময় দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থায় চলে এলে এক সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়’।
ওসি আরও বলেন ‘এসময় পুলিশ অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এ কে আজাদের গাড়ি বহর নির্বিঘ্নে পার করিয়ে দেয়।’





