পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ সংলাপে দুই দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, জনশক্তি, উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে একমত হয়। এ সময় দুই দেশ সিদ্ধান্ত নেয়, প্রতি দুই বছর অন্তর ঢাকা ও কুয়েতে পর্যায়ক্রমে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় উভয়পক্ষ প্রতিরক্ষা, প্রশিক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা সম্প্রসারণে সম্মত হয়। সেই সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে জ্বালানি, অবকাঠামো, আইসিটি, খাদ্য নিরাপত্তা ও হালাল খাতকে অগ্রাধিকার দেয়। এছাড়াও, বাংলাদেশ কুয়েতি বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন:
দুই দেশ কুয়েত ফান্ডের সহায়তায় চলমান প্রকল্পে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো ও বিমান সংযোগে সহযোগিতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার করে। সেই সঙ্গে শিক্ষা ও সংস্কৃতিতেও সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে একমত হয়।
এছাড়াও বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটে কুয়েতের মানবিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানায়। তাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার আশা প্রকাশ করে। উভয় দেশ জাতিসংঘ ও ওআইসির মতো বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করে।
সংলাপ শেষে একটি যৌথ সংবাদ বিবৃতি দেয়া হয়। সফরকালে কুয়েতের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামীহ ইসা জোহার হায়াত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
